সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগি ওই শিক্ষাথীর অভিভাবকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আজ রোববার (৩ জুলাই) জরুরী সভা ডেকেছে মাদ্রসার পরিচালনা পরিষদ।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রণের জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের এলাকার আব্দুস সামাদ মোড়লের ছেলে কামরুল ইসলাম শনিবার (২ জুলাই) মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, তার মেয়ে দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে মাদ্রাসার শিক্ষক নাজিরের ঘের এলাকার মৃত ছফেদ আলী সানার ছেলে আব্দুল বারী সানা তার মেয়েকে বাড়ি থেকে ডেকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত মাদ্রসার অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে একা পেয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং তার মেয়েকে জাপটে ধরে যৌন হয়রানি করে। একথা যেন বাড়ি যেয়ে কারো কাছে প্রকাশ না করে সেজন্য তাকে প্রাননাশের হুমকি প্রদান করেন শিক্ষক আব্দুল বারী সানা। অভিযোগে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ আব্দুল বারী সানা তার মেয়েকে এমন অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে। তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উক্ত ননএমপিও মাদ্রাসাটিতে ১জন প্যারা শিক্ষকসহ মোট ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ সামিউল্লাহ জানান, তিনি শিক্ষব আব্দুল বারী সানার বিরুদ্ধে একজন অভিভাবকের করা অভিযোগটি পেয়েছেন। আজ (৩ জুলাই) সকাল ১০ টায় মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের একটি জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। ইতিমধ্যে পরিচালনা পরিষদের সকলকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, বারী সানার বিরুদ্ধে এর আগেও দুই বার এধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠে। তখন স্থানীয়ভাবে বারী সানা মুচলেকা দিয়ে মাফ চেয়ে রক্ষা পায়। আজকের সভায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবু মুছা সানা জানান, এধরনের কাজ একটি প্রতিষ্ঠান ও এলাকার জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ম্যানেজিং কমিটির সভায় আলোচনা করে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল বারী সানা জানান, তিনি চিকিৎসার কাজে গত ২ দিন আগে ঢাকায় এসেছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ন সাজানো। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ কয়েকজন ষড়যন্ত্র করছে যাতে তিনি মাদ্রাসায় চাকরি করতে না পারেন।
তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী একটি বানান না পারার কারণে গত কয়েকদিন আগে তার হাত ধরে তাকে মারেন তিনি। যার কারণে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেন শিক্ষক আব্দুল বারী সানা।
খুলনা গেজেট/ এস আই