সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রাথযাত্রা পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১ জুলাই) বিকাল সাড়ে চারটায় পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ির নাটমন্দিরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি গোষ্ট বিহারী মণ্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সহসভাপতি বিএনপি নেতা অ্যাড. সোমনাথ ব্যাণার্জী, ইস্কন মন্দিরের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারি, প্রাণনাথ দাস, বিকাশ দাস, আনন্দ মোহর সরকার, নিত্যানন্দ আমিন, পলাশ দেবনাথ, রণজিৎ সরকার, সুজন সরকার প্রমুখ।
হিন্দু নেতারা বলেন, শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেব এর রথযাত্রা একটি হিন্দু পরম্পরা। দেশ ও জাতির কল্যাণে যুগযুগ ধরে এ রথযাত্রা পালিত হয়ে আসছে। তবে মহামারী করোনার কারণে দুই বছর ধরে এ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এক সময় ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের পুরীতে জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে নিয়ে ঐতিহ্যবাহি রথযাত্রা শুরু হলেও তা আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে। তবে সম্প্রতি একটি গোষ্ঠীর কারণে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
এরপর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মায়ের বাড়ি থেকে রথে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে বসিয়ে যাত্রা শুরুতে ফিতে কেটে এর উদ্বোধন করেন সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুর অংশ গ্রহণে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, শঙ্খ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে করতে রথের দড়ি ধরে টানতে শুরু করেন। র্যালিটি সাতক্ষীরা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারো মায়ের বাড়িতে যেয়ে শেষ হয়। আগামি ৯ জুলাই উল্টো রথের মধ্য দিয়ে শেষ হবে নয় দিন ব্যাপি রথযাত্রার অনুষ্ঠান।
এ ছাড়া তালা সদর, গোপালপুর, পাটকেলঘাটা, কলারোয়া, সদরের ধুলিহর, ঝাউডাঙা, দেবহাটা, কালিগঞ্জের গোবিন্দকাটি, আশাশুনি সদর ও শ্যামনগরের নকীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছ।
খুলনা গেজেট/ এস আই