দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পেসার খালেদ আহমেদ বলেছিলেন, ম্যাচে টিকে থাকা শুধু নয়, জেতার লক্ষ্যেই খেলবে বাংলাদেশ। অ্যান্টিগা টেস্টে তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সেই লক্ষ্যের উদ্দেশে অভিযাত্রা মোটেই ভালো হয়নি, উলটো চোখ রাঙানি দিচ্ছে ইনিংস হারের শঙ্কা। সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫ রান। এখনো উইন্ডিজের চেয়ে ৪৭ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
দিনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থতার গোলকধাঁধায় আটকে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠা লিটন দাসও এই টেস্টে দুই ইনিংসে জ্বলে ওঠার আগেই নিভে গেলেন। এক প্রান্ত আগলে এগিয়ে যেতে থাকা মাহমুদুল হাসান জয়ও কাটা পড়েছেন সেশন শেষের দিকে।
তৃতীয় দিনের সকালে ব্যক্তিগত ৮ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন শান্ত, এদিন আর মাত্র ৯ রান যোগ করেই নিজের উইকেট খুইয়েছেন। ইনিংসের ২৯তম ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা কাইল মায়ার্সের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে ক্যাচ হয়ে ৪৫ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন তিনি।
টেস্টে ব্যাট হাতে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মুমিনুলও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৫তম ওভারে মায়ার্সের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল তার ব্যাট মিস করে আঘাত হানে পায়ে। আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেও বাঁচতে পারেননি মুমিনুল, ১২ বলে মোটে ৪ রান করে ধরেছেন সাজঘরের পথ। এই নিয়ে টানা ৯ ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
লিটন দাস ৩৬তম ওভারে আলজারি জোসেফের পরপর দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনিও ফিরেছেন শান্তর সমান ১৭ রানে তার মতোই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে।
অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়া চললেও প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা জয় ছিলেন অবিচল। ক্রিজে থিতু হয়ে ইনিংস লম্বা করার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এই তরুণ। তবে ইনিংসের ৪৬তম ওভারে কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেট বিলিয়ে দিয়েই ফিরেছেন। ফিফটি থেকে আট রান দূরে ৪২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার।
সেশনের বাকি সময়টা নুরুল হাসান সোহানকে (২*) নিয়ে পার করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৫*)।