সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্বায়িত্বরত স্বাস্থ্য সহকারি কামরুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন)সকাল ১১ টায় সাতক্ষীর প্রেসক্লাবের সামনে আশাশুনি- সাতক্ষীরা সড়কে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল হেলথ এসিসট্যান্ট এ্যসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসোসিয়েশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিএইচসিপি হাসিবুর রহমান, সাব্বির হোসেন, হেলথ এ্যাসোসিয়েশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মর্জিনা খাতুন, দপ্তর সম্পাদক ইকরামুল কবির, কোষাধাক্ষ্য স্বস্থ্য সহকারী লুৎফুল কাদির স্বাস্থ্য সহকারী নুর ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোন কারণ ছাড়াই যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারি কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই হামলাকারিরা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী সুবর্ণা বিশ্বাসকেও উত্যক্ত করতো। ফলে ওই নারী কর্মীর সেখানে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। একইভাবে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে ঝাউডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোভিড ১৯ টিকা দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুজ্জামানকে কোন কারণ ছাড়াই মারপিট করেন একজন সাংবাদিক। মন্দের ভাল যে উভয় ঘটনায় হামলাকারিরা গ্রেপ্তার হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্বে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের যদি কোন নিরাপত্তা না থাকে তাহলে তারা কিভাবে মানুষের সেবা করবেন? হামলা কারিদের যদি সঠিক বিচার না হয় তাহলে সারা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতী পালন করবে।
প্রসঙ্গত, যুগিপুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সূবর্ণা বিশ্বাস। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তার পরিবর্তে সোমবার দায়িত্ব পালন করছিলেন কামরুল ইসলাম। সকালে স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে ৪/৫ সন্ত্রাসী ক্লিনিক থেকে ঔষধ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। কামরুল ইসলাম বাঁধা দিলে তাকে দাঁ দিয়ে মাথায়, হাতে ও বুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তিনি বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।