রক্তচাপ স্বাভাবিক না থাকলে বিপদ। খেয়াল না করলে অনেক সময় রক্তচাপ অতিমাত্রায় কমে গিয়ে কিংবা বেড়ে গিয়ে বড় বিপদ হতে পারে। বাসায়ও রক্তচাপ মাপা যায়। তবে এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
যারা রক্তচাপের ওষুধ খান, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও যাদের রক্তচাপ ওঠানামা করে, তাদের জন্য এই সতর্করা বেশি জরুরি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শরদিন্দু শেখর রায়।
* রক্তচাপ মাপতে মনিটরযুক্ত যন্ত্রের চেয়ে সাধারণ স্ফিগনোম্যানোমিটারই ভালো। বছরে একবার যন্ত্রটি পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।
* চা-কফি পান করার পর, ব্যায়ামের পর, খাদ্যগ্রহণ বা ধূমপান করার পর বা খুব অস্থিরতার সময় রক্তচাপ না মাপাই ভালো।
* একই সময়ে রক্তচাপ দেখা ভালো, বিশেষ করে যদি রক্তচাপের ওঠানামার সমস্যা থাকে। যেমন : সকাল ১০টা ও রাত ৮টা-এমন দুটো সময় ঠিক করে নিলেন।
* রক্তচাপ মাপার আগে শান্ত হয়ে ৫-১০ মিনিট বসুন। ঢিলে হাতের বা হাফহাতা জামা পরুন। হাতটি টেবিলের ওপর বিছিয়ে দিন এমনভাবে যেন তা হার্টের লেভেলে থাকে। কাফটা ঠিক করে বাঁধতে হবে। বেশি ঢিলে বা টাইট হবে না। শিশু ও বেশি স্থূল ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাফ লাগে। স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রামটা ঠিক জায়গায় বসাতে হবে।
* অস্বাভাবিক রক্তচাপ পাওয়া গেলে আধ ঘণ্টা পর আবার মাপুন। অস্থির বা উদ্বিগ্ন হবেন না। সিস্টোলিক ১৮০ ও ডায়াস্টোলিক ১২০-এর ওপর আবারও পেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন বা হাসপাতালে যান। এছাড়া রক্তচাপ একটু কম-বেশি হলেও নিজে নিজে ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করবেন না বা ওষুধ বন্ধ করে দেবেন না।
* প্রতিদিন বা বারবার রক্তচাপ মাপার দরকার নেই। এতে অযথা উদ্বেগ বাড়বে। মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, দম আটকে আসা ইত্যাদি সমস্যা হলে দেখতে পারেন। কোনো ওষুধ নতুন শুরু করার বা পরিবর্তন করার পরের দুই সপ্তাহে কয়েকবার মাপা উচিত।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ