বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, “বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে-তাতে বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অবৈধ পার্লামেন্ট আড়াই লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি রেখে একটি বাজেট প্রস্তাব করেছে। জনগনের উপর অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপিয়ে তারা নাকি আড়াই লক্ষ কোটি টাকা তুলে ওই ঘাটতি বাজেট পুরণ করবে। অর্থাৎ জনগনের উপর আবারও মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।”
তিনি বলেন, “দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতুর পরতে পরতে দুর্নীতির ছোঁয়া লেগেছে। দুর্নীতির প্রতীক হিসেবে মানুষের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে এই পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতু দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবো, তবে জনগনের টাকা লুটপাট করে যে বাহবা আপনারা কুড়াতে চান- সেই সাধুবাদ জনগনকে আপনাদের দেবে না। কারোর নিজস্ব কিংবা দলীয় টাকায় কিন্তু এই পদ্মাসেতু করা হয়নি, জনগনের টাকায় করা হয়েছে। জনগনকে একটি পদ্মাসেতুর অনিয়ম-দুর্নীতির হিসাব দিতে হবে।”
আজ শনিবার বিকেলে নগরীর কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাস বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ঘোষিত এ কর্মসূচির আয়োজক খুলনা জেলা বিএনপি।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খানের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর কটুক্তির প্রতিবাদে কড়া সমালোচনা করে কটুক্তিকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনের আহবান জানান বক্তারা।
প্রধান অতিথি আজিজুল বারী হেলাল বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “এই বাজেটে অবৈধ অর্থপাচারকারীদের নগ্নভাবে অনৈতিক লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। যারা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে, তারা নামমাত্র ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে লুটেরা সরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগাপ্রকল্প থেকে এসব অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। আজকে পদ্মাসেতু নিয়ে গর্ব করছেন? ২০০৩, ৪ ও ৫ সালের জাতীয় পত্রিকাগুলো দেখুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার জাপানের জাইকার সমন্বয়ে একটি সমীক্ষা করিয়েছিল- তখন পদ্মাসেতুর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা। সেটা আজকে লুফিয়ে-ফাপিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত টাকা কোথায় ব্যয় করা হলো, দেশের জনগনকে একটি হিসাব দিতে হবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন, শেখ আবু হোসেন বাবু, জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, এসএ রহমান বাবুল, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, মোঃ রকিব মল্লিক, আজিজুল হাসান দুলু, মোস্তাউল বারী লাভলু, শেখ আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, বদরুল আনাম খান, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামীম কবির, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, শামসুল আলম পিন্টু, মেজবাউল আলম, এনামুল হক সজল, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, ডাঃ আব্দুল মজিদ, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, খায়রুল ইসলাম খান জনি, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, শাকিল আহম্মেদ দিলু, বেগ তানভিরুল আযম, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, শেখ আজগর আলী, শাহিনুল ইসলাম পাখি, রোবায়েত হোসেন বাবু, মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কেএম হুমায়ুন কবীর, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, মোঃ হাফিজুর রহমান, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সুলতান মাহমুদ, মুর্শিদুর রহমান লিটন, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, নাজমুস সাকিব পিন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, আরিফুর রহমান আরিফ, এহতেশামুল হক শাওন, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান তুষার, শেখ ইমাম হোসেন, খন্দকার ফারুক হোসেন, সেলিম সর্দার, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, হাসনাত রিজভী মার্শাল, সরদার আঃ মালেক, ইঞ্জিনিয়ার টিটু ভুইয়া, আবুল বাশার, নূরুল আমিন বাবুল, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, গাজী আঃ হালিম, দিদারুল হোসেন দিদার, হেলাল উদ্দিন হেলাল, মোল্লা ফরিদ আহম্মেদ, নাসির খান, আঃ সালাম, তরিকুল ইসলাম, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, ফারুক হোসেন হিল্টন, শফিকুল ইসলাম শফি, ফারুক হোসেন, আজিজা খানম এলিজা, মোল্লা সাইফুর রহমান, মাসুদ খান বাদল, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারী পান্না, মোল্লা কবীর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার নুর ইসলাম বাচ্চু, ইবাদুল হক রুবায়েত, শাহীদুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, আতাউর রহমান রুনু, আজিজুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা তুহিন, এ্যাড. সেতারা বেগম, আবুল কালাম আজাদ ও তাজিম বিশ্বাস প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ