সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শাহিনা রাসুল হাসি (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের নিজ বাড়ির বাথরুমের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে।
গৃহবধূ শাহিনা রাসুল হাসি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী ও স্থানীয় কালিগঞ্জ রোকেয়া মুনসুর মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
নিহতের শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোবারক হোসেন জানান, গত বুধবার রাতে পরিবারের সবাই একসাথে বসে খেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯ টার দিকে বাথরুমের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার পুত্রবধূকে দেখতে পান তারা। পরবর্তীতে এলাকাবাসী থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত শাহিনা ও মাহমুদুল হাসানের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এজন্য তার স্ত্রী পিতার বাড়িতে ছিল। গত তিন দিন আগে মাহমুদুল এমএমসি পরীক্ষা দিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে শ্বশুরবাড়ি হতে স্ত্রী শাহিনাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আসে। বুধবার রাতে শাহিনার সাথে যৌতুকের টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় মাহমুদুল তার স্ত্রীকে মারধর করে। পরদিন সকালে বাথরুমের আড়ার সাথে তাকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। গৃহবধূ শাহিনাকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাথরুমের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে দাবি এলাকাবাসীর।
তবে নিহতের স্বামী মাহমুদুল হাসানের দাবি, তার স্ত্রী’র মাথার সমস্যা ছিলো। এজন্য সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্ত্রীর সাথে তার কোন ঝগড়া হয়নি।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হালিমুর রহমান বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মাহমুদুল হাসান ও শ্বশুর মোবারক হোসেনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ