আইপিএল ছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনিকে এখন আর খেলতে দেখা যায় না। আইপিএলের পঞ্চদশ আসর মাত্র শেষ হয়েছে, ধোনিরও তাই চলে যাওয়ার কথা প্রাদপ্রদীপের আলোর বাইরে। তবে আইপিএল শেষ হয়ে গেলেও আলোচনায় রয়ে গেলেন ধোনি, তাও নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়ে।
৮১৯ কোটি রুপির মালিক ধোনির বিরুদ্ধে ৩০ লাখ রুপি প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে মামলাও। একটি চেক বাউন্স করায় ধোনিসহ মোট ৮ ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে বেগুসরাইয়ে। অভিযোগ দায়ের করেছে এসকে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সংস্থা।
কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছিলেন ধোনি। এরই মাঝে দুটি সংস্থা জড়িয়েছে বিবাদে। এতে ধোনির সরাসরি সংযোগ না থাকলেও মামলায় তার নামও যুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগকারী এসকে এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে, নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেড নামের একটি সংস্থা তাদের ৩৪ লাখ ৮১ হাজার রুপির চেক দিয়েছিল। এ নিয়ে অভিযোগ উঠলে পরবর্তীতে কমে টাকার অঙ্ক, সেবার৩০ লক্ষ রুপির চেক দিয়েছিল তাদের। সেই চেকটি বাউন্স করেছে।
ধোনি সারের বিজ্ঞাপনের যে কাজ করেছিলেন, সেই বিজ্ঞাপনের কাজ নিয়েই নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে এসকে এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়। প্রথমে এজেন্সি মালিকের মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠানো হলেও নিউ গ্লোবাল প্রোডিউস ইন্ডিয়া লিমিটেড এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। প্রতারণার অভিযোগ তোলে এসকে এন্টারপ্রাইজ তাই মামলা ঠুকে দিয়েছে।
গত সোমবার এই মামলার প্রথম শুনানি হয়েছে। আগামী ২৮ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এসকে এন্টারপ্রাইজের মালিক নীরজ কুমার নিরালা ধোনি ছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত করেছেন কোম্পানির সিইও রাজেশ আর্য, স্টেট হেড অজয় কুমার, মার্কেটিং হেড অর্পিত দুবে, এমডি ইমরান জাফর এবং মার্কেটিং ম্যানেজার বন্দনা আনন্দকে।
বিষয়টি নিয়ে তেমন হইচই হওয়ার কথা না থাকলেও ধোনির নাম জড়ানোয় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ক্রিকেট অঙ্গনে। ধোনিকে আর্থিক প্রতারণার মামলায় জড়িত শুনে অনেকে অবাক হয়েছেন। অবশ্য অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ক্রিকেটার ধোনির সম্পদের পরিমাণ ৮১৯ কোটি রুপিরও বেশি। কেবল ২০২১ সালেই তিনি আয় করেছেন সাড়ে ৭৪ কোটি রুপি। বছরে শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই আয় করেছেন ৫০ কোটি রুপিরও বেশি। সেই ধোনিই কিনা ৩০ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগে মামলা খেয়ে বসলেন!