দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের ব্যবসায়ী সংগঠন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে শামসুর রাহমান-মধু-লতা প্যানেলের নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ সদস্যের প্রত্যেকে পাশ করেছে এ প্যানেলের। সদস্যদের অনেক আন্দোলন আর সংগ্রামের আট বছর পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হলো এ নির্বাচন।
সোমবার (৩০ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।বিজয়ী শামসুর রাহমান – মধু-লতা প্যানেলের মার্কা ছিল আনারস আর পরাজিত সজন-ভারত-ফজলু প্যানেলের মার্কা ছিল ছাতা।
তিন বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাসহ নানা অজুহাতে এতদিন নির্বাচন হয়নি। প্রত্যেক প্যানেলে ১৯ জন করে মোট ৩৮ জন প্রার্থী এ ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৭২৪ জন। নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করে।
শামসুর রহমান-মধু-লতা পরিষদের বিপরীতে সজন-ভারত ঐক্য পরিষদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এ নির্বাচনে। দেশের ১২টি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ মালিকরা বেনাপোল এসেছিলেন ভোট দিতে। সুষ্ঠু বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে এবার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি ভোটাররা। বন্দর ও কাস্টমসের নানা সমস্যা সমাধানে এবার সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বের ব্যক্তিদের পেয়ে ভোটাররা অনেক খুশি।
সাধারণ ভোটার শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো এ নির্বাচন। সাধারণ ভোটারদের আন্দোলনে আজ ভোট হচ্ছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে ভালো লেগেছে।
বেনাপোল বন্দর থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ভোটের মাঠে নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীরা কাজ করেছেন।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন কমিশন ফারুক হোসেন উজ্জ্বল জানান, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।