সাতক্ষীরায় পৃথক বজ্রপাতে দুই জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে। রোববার (২৯ মে) সকাল ৮ দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গী বিলে ও শনিবার ২৮ মে) সন্ধ্যায় দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের পাতার বিলে পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
নিহত একজনের নাম ফারুক হোসেন (৪০)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। নিহত অপর জন হলেন, দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের পিয়ার আলী গাজীর ছেলে আব্দুল লতিফ গাজী (৫২)।
আহতরা আহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গী গ্রামের ফটিকগাছি ছেলে মহিদুল গাজী (৪০), একই গ্রামের আমির আলীর ছেলে এরশাদ আলী (৩৫), জহুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন(৫০) ও ঢাকা সাভারের এলাকায় হুমায়ুন কবির (৪০)। আহতদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিরাজুল ইসলাম ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেন সহ অন্যান্যরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খেজুরডাঙ্গী বিলের স্কেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটার কাজ করছিল। সকালে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে বৃষ্টির মধ্যেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে স্কেবেটর চালক ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। গুরুতর আহত হয় ফারুক হোসেন এর সহযোগী মহিদুল গাজী, এরশাদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও এস্কেভেটর এর মালিক হুমায়ুন কবির। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মমতাজ মজিদ জানান, ঘটনাস্থলেই ফারুক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্যান্যদের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দেবহাটা উপজেলার নারিকেলি গ্রামের পিয়ার আলী গাজীর ছেলে আব্দুল লতিফ গাজী শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পাতারবিলে ঘেরের বাসায় বসে ছিল। এসময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘেরের বাসার উপর হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই আব্দুল লতিফ মারা যায় ।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) গোলাম কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই