সাতক্ষীরায় রাতের আঁধারে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে এক ইউপি সদস্যের পুকুরের ছোট মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ মে) রাত আটটার দিকে সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়নের আড়ুয়াখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে চলতি বছরের সাড়ে চার মাসে একই এলাকার কমপক্ষে ১৫টি পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দোষীদের চিহ্নিত করা যায়নি।
কুশখালি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মাঠের ধান উঠানে গাদা করে তিনি বাড়ির মধ্যে চলে যান। রাত ১০টার দিকে তিনি লোকমুখে জানতে পারেন যে তার পুকুরে চারা মাছ ভাসছে। এরপর পুকুরে টর্চ লাইট মেরে তিনি বুঝতে পারেন যে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে তার পুকুরে ছাড়া ২৫ হাজার টাকার সিলভার, ট্যাবলেট ও জাপানি পুটি মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। চলতি বছরে তার গ্রামের কমপক্ষে ১৫টি পুকুরে বিষ অথবা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মাছ মারার চক্রটি অনুসন্ধান করে শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আড়ুয়াখালি গ্রামের কয়েকজন জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে মনিরুল ইসলাম জয়লাভ করার পর প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থকের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কোন কারণ ছাড়াই মেম্বার মনিরুলের নির্দেশনা অনুযায়ী আনছার ভিডিপি সদস্যের পুকুরে বিষ দেওয়ার ঘটনায় মাছ ব্যবসায়ি আব্দুস সালামকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এজাহারে নাম দেওয়া হয় নিরীহ সৈয়লদ্দিকে। সৈয়লদ্দি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার তিন দিন পর তার পুকুরে বিষ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়।
গ্রামবাসি গ্রামের মনিরুল মেম্বার, সৈয়লদ্দিসহ ১৫টি পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবীর জানান, মনিরুল মেম্বরের পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মেরে ফেলার ঘটনায় শনিবার দুপুর একটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।