সাতক্ষীরার আশাশুনিতে অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে এক বিধবা নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
নিহত নারীর নাম তাসলিমা খাতুন (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের মৃত লিয়াকত আলী গাজীর স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর পূর্বে তাসলিমা খাতুনের স্বামী লিয়াকাত গাজী ইন্তিকাল করেন। এই সুযোগে একই গ্রামের মোঃ কামাল হোসেন তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগে তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সর্ম্পক গড়ে তোলে।
এসময় কামাল বিধাব ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে মেলামেশা করতে থাকে। একপর্যায় তাসলিমা খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ের জন্য তিনি কামালকে চাপ প্রয়োগ করেন। এরপর কামাল বিয়ের কথা বলে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গত ২৫ এপ্রিল তাসলিমা খাতুনকে ভুল বুঝিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি।
বুধবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে লিয়াকাত গাজী ভাইপো আব্দুল্লাহ তাদের বাড়িতে গিয়ে বলেন, অজ্ঞাত ৩/৪ ব্যক্তি তাসলিমা খাতুনের মৃতদেহ উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর একসরা গ্রামে তার দাদা কাশেম মালীর বাড়িতে রেখে গেছে। এজাহারে তাসলিমা খাতুনকে খুলনার কোন ক্লিনিকে বা হাসপাতালে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বুধবার বিকালে উত্তর একসরা কাশেম মালীর বাড়ি থেকে তাসলিমা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ময়না তদন্তের জন্য ওই নারীর মৃতদেহ বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই