ঘূর্নিঝড় ‘অশনি’র সম্ভাব্য আঘাতের খবরে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৯ সালের আইলা, ২০১৮ সালের ফনী, ২০১৯ সালের বুলবুল এবং ২০২০ ও ২০২১ সালে ভয়াবহ আম্পান ও ইয়াশ এর দাপটের কথা ভেবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। ‘অশনি’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় এরই মধ্যে জোর প্রস্ততি গ্রহণ শুরু হয়েছে।
রোববার (৮ মে) বেলা ১২ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলনের সভাপতিতে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আকবর কবীর, সরকারি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যনগন ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
সভায় জানানো হয়, শ্যামনগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩৩টি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৮ কিলোমিটার বাঁধ চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে। গাবুরা, পদ্মপুকুর, আটুলিয়া,বুড়িগোয়ালিনী রমজাননগর, মুন্সিগঞ্জ এবং কৈখালী ইউনিয়নের এসব ঝুকিপূর্ন এলাকায় এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ, বাঁশের বল্লী এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া দূর্যোগ মূহুর্তে প্রয়োজনীয় শ্রমিক জনবলকে ঝুড়ি কোদাল নিয়ে প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ৭৮টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলির সোলার প্যানেলগুলি কার্যকর করা হচ্ছে । ঘূর্নিঝড় আঘাত হানার আগেই বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী মা ও শিশুদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসার জন্য বেসরকারি সংস্থা সিপিডি, সিডিইও এবং সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক নৌযানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনোখাবার, চাল, সুপেয়,মোমবাতি, ম্যাচ,সুপেয় পানি এবং ওষুধপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ হতে যথাসময়ে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হবে এবং ঝুকিপূর্ন এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই