ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরা ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে পর্যন্ত গত চারদিনে ১ হাজার ১৫ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫এপ্রিল) সর্বাধিক ৫২৯ জন যাত্রী আসা যাওয়া করেছে। তবে ঈদের ছুটির কারণে বন্দরটি দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। আগামী ৭ মে শনিবার থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে ফের আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
সাতক্ষীরা ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দু’দেশের,মধ্যে পারাপারকৃত যাত্রীদের মধ্যে ঈদের আগের দিন (২ মে) ১৮৬ জন, ঈদের দিন (৩ মে) ৯৫ জন ঈদের পরের দিন বুধবার (৪ মে) ১৫৫ জন এবং বৃহস্পতিবার (৫ মে) ৫২৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার করেছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার ভারতে গেছেন ৩৩৫ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ১৯৪ জন।
প্রসঙ্গতঃ করোনা ভাইরাসের কারণে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা প্রায় দু’বছরের অধিক সময় বন্ধ ছিল। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে ভারত সরকার পুনরায় ট্যুরিস্ট ভিসা চালু করায় ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে দু’দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। এতে সস্থি ফিরেছে ভ্রমন পিপাসুদের মনে। একই সাথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ভোমরাসহ দেশের প্রতিটা ইমিগ্রেশন অফিসে।
ভোমরা স্থল বন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের এডহক কমিটির আহবায়ক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের আনাগুনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়ায় এটা সম্ভব হয়েছে বলে আমার মনে হয়। তবে বন্দরটিতে আমদানি-রপ্তানী কার্যক্রম আপততঃ বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী ৭ মে শনিবার থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের পাশাপাশি ভোমরা বন্দরে আবারও যথারীতি আমাদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ ছিল। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ভারত সরকার এপ্রিল মাসে ট্যুরিস্ট ভিসা পুনরায় চালু করায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ভীড় বেড়েছে। ক্রমশঃ যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রমে গতি ফিরেছে।
তিনি আরও জানান, গত চারদিনে ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে ১ হাজার ১৫ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার করেছে। ট্যুরিস্ট ভিসার কারনে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাভাবিক যাতায়াত আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে ছুটির কারনে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।