সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমউদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর সাতক্ষীরা পৌর মেয়রের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ জারী হয়।
ভূক্তভোগী সাতক্ষীরা চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান খাঁন বাপী বলেন, বিনা নোটিশে আমিসহ ৭ জন কর্মচারিকে চাকরি থেকে অপসারণ করেছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদেরকে পৌরসভা চত্বরে দেখলে গুলি করে মারারও হুমকি দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, পৌরসভায় কাজী বিরাজ হোসেন নামের অস্থায়ী এক কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন নাজিমউদ্দীন। কিন্তু তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। এছাড়া কমচারীদের অহেতুক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কর্মচারিদের সেইসব অভিযোগ তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠান। পাশাপাশি অভিযোগের অনুলিপি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েও পাঠান।
সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমউদ্দীনের বিরুদ্ধে পৌরসভার মেয়র একটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলেন। তবে সেটির তদন্তের নির্দেশনার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেন, নাজিমউদ্দীনের তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার চিঠি পেয়েছি। অচিরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ ২০২০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাজা দেন তৎকালিন আরডিসি নাজিমউদ্দীন। পরবর্তীতে বিভাগীয় শাস্তিস্বরুপ তার বেতনক্রম ৬ষ্ঠ থেকে সপ্তমে নামিয়ে আনা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই