পারিবারিক কলহের জেরধরে সাতক্ষীরায় কাথন্ডায় এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে গৃহবধুকে হত্যা করে ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যার প্রচারণা দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের ।
মৃত গৃহবধুর নাম সুমি খাতুন (২৩)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী ও তেতুলতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। তাদের ৪ বছর বয়সী জান্নাত নামের একটি মেয়ে রয়েছে।
সুমি খাতুনের বাাব শফিকুল ইসলাম বলেন, বছর ছয়েক আগে তার একমাত্র মেয়ে সুমি খাতুনের সাথে কাথন্ডা গ্রামের মুত আবুবকর সরদারের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিসহ বিভিন্ন তুচ্ছ ঘটনায় তার মেয়ের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালাতো স্বামী সাদ্দাম হোসেন, ভাসুর শাহিন আলম, জা সিনথিয়া খাতুন ও ননদ মিনা খাতুন।
সুমি শ্বশুর বাড়িতে টিকতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে আমার বাড়িতে চলে আসে। পহেলা রমজানে জামাই সাদ্দাম হোসেন এসে মেয়েকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়। শুক্রবার সকালে সুমি আত্মহত্যা করেছে বলে মেয়ের ভাসুর শাহীন আলম খবর দেয়।
সুমির খালু সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, আমরা সাদ্দামদের বাড়িতে যেয়ে সুমিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ঘরের মধ্যে কোনো চেয়ার, টুল বা এই রকম কিছু দেখতে পাইনি। আত্মহত্যা করতে গেলেতো উচু কিছুতে উঠে গলায় দড়ি দিতে হয়। এছাড়া গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার প্রাথমিক লক্ষণ-যেমন জিহবা বের হওয়া, হাতের আঙ্গুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ থাকা, ঠোট কালো হওয়া, চোখ বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়া-এগুলোর কোনো লক্ষণই সুমির মধ্যে ছিলনা।
রবিউল ইসলাম আরও জানান, পুলিশ ও আমাদের সামনেই সুমির ননদ মিনা খাতুন আস্ফালন করতে থাকেন। তিনি থানা বা আদালতের বারান্দায় না উঠতে প্রয়োজনে ৫ লাখ টাকা খরচ করবেন বলে চিৎকার করতে থাকেন।
এদিকে মেয়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দিতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সুমির পিতা শফিকুল ইসলাম।
এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির বলেন, প্রাথমিক দৃষ্টিতে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়। তবে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই