খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হবিগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত অর্ধশতাধিক
  চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
  সোহেল চৌধুরী হত্যা : আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত
  সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

লোহাগড়ায় লেবুর হালি ৭০, কাঁচামালের আগুন দর

মোঃ আলমগীর হোসেন, লোহাগড়া

নড়াইলের লোহাগড়ার বাজার গুলোতে রমজানের শুরু থেকে কাঁচামাল ও শাক-সবজির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ার অজুহাতে রোজার প্রথম দিন থেকেই পাইকারি বাজারে লেবু ৭০টাকা, ৪০ টাকার শসা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। মরিচের দামও বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। পাইকারি বাজারের এই লাফ ঝাঁপের প্রভাবে খুচরা বাজার হয়েছে নিয়ন্ত্রণহীন, দিশেহারা সাধারণ ক্রেতারা।

গেল সপ্তাহে ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া শসা ও বেগুন রোজা শুরু হতেই বিক্রি হয়েছে ৭০থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। শসার পাশাপাশি কেজিতে কিছুটা বে‌ড়ে‌ছে ছোলা, চিনি, চাল, খেজুর, মুরগি এবং গরু-ও খা‌সির মাংসের দাম, তবে মাছের দাম বাড়েনি।

বাঙালির ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুসঙ্গ মুখরোচক খাবার ভাজাপোড়া । এ কারণে রোজা এলেই সব যায়গায় বেগুনের কদর বেড়ে যায় অনেকটা। প্রতি বছর বাজারের ব্যবসায়ীরা সেই সুযোগ নিতে ভুলেন না। রমজানে বেগুন নিয়ে নানান কারসাজি নতুন কিছু নয়। এবার ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদা বুঝেই একদিনের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেগুনের দাম দ্বিগুন। দুদিন আগেও বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। আর এক সপ্তাহ আগে ছিল আরও কম। বেগুনের পাশাপাশি কাঁচা মরিচেও। এক রাতের ব্যবধানেই কেজি প্রতি বেড়েছে ২০/৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীদের সেই পুরনো অজুহাত। চাহিদা বেশি, তাই দামও বেশি। লোহাগড়া বাজারের আড়ৎ ঘুরে সরবরাহের কোনই ঘাটতি দেখা যায় নি।

বিক্রেতারা জানান, প্রতি রমজানে বেগুনের চাহিদা বেশি থাকে, তাই দামও বাড়ে। রমজান মাস জুড়ে বিকাল থেকে দোকানের সামনে টেবিল বসিয়ে বিক্রি হয় হরেক রকমের ইফতার সামগ্রী। এর মধ্যে বেগুনিও থাকবে। দামের হেরফের ছিল লেবুতেও। শরবত খাওয়ার উপযোগী লেবু প্রতি হালি দেশি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০/৭০ টাকা। এই দামে এর আগে মিলেছে এক ডজন লেবু। এখন এই দামের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন সাধারণ ক্রেতারা।

লোহাগড়া বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজার কিছুটা উদ্ধমুখি রয়েছে ৫/৭ টি রোজার পরে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!