খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭

সাতক্ষীরার তুজলপুর হবে ঔষধি গ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুর হবে ঔষধি গ্রাম। গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে ফলজ ও বনজ বৃক্ষের পাশাপাশি রোপণের জন্য গাছের পাঠশালার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে ওষুধি গাছের চারা। এর মধ্যদিয়ে গ্রামের মানুষকে ভেষজ ওষুধ, জৈব সার ও কীটনাশক এবং অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণের স্থায়িত্বশীল চর্চায় উদ্বুদ্ধ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুরে ‘গাছের পাঠশালা’ ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ-বারসিক আয়োজিত ‘বাড়িতে ওষুধি বৃক্ষ রাখার উপকারিতা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তুজলপুর গ্রামকে ওষুধি গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি, গাছের পাঠশালা’র পরিচালক ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত সংরক্ষক ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম, তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রহমান, বারসিকের সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয়রা।

এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাড়িতে ওষুধি বৃক্ষ রাখার উপকারিতা ও গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আমরা দিন দিন যে কোন রোগে এন্টি বায়োটিকসহ উচ্চ মাত্রার ওষুধের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছি। একই সাথে ফসল উৎপাদনে রাসায়নিকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় খাদ্যের গুণগন মান ও পুষ্টি কিছুই থাকছে না। সুন্দর স্বাভাবিক জীবনযাপনে ভেষজ ওষুধ, জৈব সার ও কীটনাশক এবং অর্গানিক খাদ্য উৎপাদন ও গ্রহণের স্থায়িত্বশীল চর্চা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ সহিদুর রহমান বলেন, বর্তমানে প্রত্যেক বাড়িকে পুষ্টির ভান্ডার হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ওষুধি বৃক্ষও রাখতে হবে। এসব বৃক্ষের ব্যবহারও করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের নানা সেবার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সব সেবা ডিজিটালাইজ করেছে। এসব সেবা পেতে কাউকে একটি টাকাও দেবেন না। অনলাইনে আবেদন করবেন, আবেদন বিবেচনা করে সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তুজলপুর গ্রামকে ওষুধি গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে বারসিকের সহযোগিতায় গাছের পাঠশালা ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণে জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত সংরক্ষক ইয়ারব হোসেনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক বাড়িতে পর্যায়ক্রমে আটটি করে ওষুুধি বৃক্ষ পৌঁছে দেওয়া হবে। একই সাথে এসব বৃক্ষের গুণাগুন জানতে স্থানীয়দের ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হবে।

 

খুলনা গেজেট/কেএ

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!