সাতক্ষীরায় ৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় অপর এক মাদক ব্যবসায়ি পুলিশের হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যায়। পরে ওই হ্যান্ডক্যাপ উদ্ধার হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত আজিবর সরদারের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আজাদ সরদার (৫৫), একই গ্রামের মৃত মোহাম্মাদ সরদারের ছেলে মতিয়ার রহমান ওরফে মতি (৫০) ও হোসেন দফাদারের ছেলে বাপ্পি হোসেন (১৯)। পুলিশের হ্যান্ডক্যাপসহ পালিয়ে যায় আসামির নাম মোঃ কামরুজাজামান ওরফে রানা (৩৪)। সে গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত শওকত আলী বুলুর ছেলে।
পুলিশ ও এলকাবাসি সূত্রে জানা যায়, ঝাউডাঙ্গা বাজারের মুরগীহাটের এক দোকানী ৫ কেজি গাঁজা আনতে দেয় ভারতে। গোবিন্দকাঠি গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে মোস্তাক ও মাদক ব্যবসায়ি মতিয়ার রহমান মতি ভারত থেকে আনা ওই ৫ কেজি গাঁজা খোয়াগেছে বলে প্রচার দেয়। তারা ওই গাঁজা রেখে দেয় স্থানীয় নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আজাদের জামাতা রানার কাছে। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ গোপনে এ ঘটনা জানতে পারে।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর থানার সহকারি উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ভোর রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মদক ব্যবসায়ি মতিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এসময় গাঁজার ওই চালান আজাদ মেম্বরের জামাতা রানার কাছে রয়েছে বলে পুলিশকে জানায় মতিয়ার। পরে পুলিশ ৫ কেজি গাঁজা সহ বাপ্পি ও রানাকে গ্রেপ্তার করে। একপর্যায় মাদক ব্যবসায়ি রানা হ্যান্ডক্যাপসহ পূলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য আজাদের মাধ্যমে ওই হ্যান্ডক্যাপ উদ্ধার করে। এঘটনায় পুলিশ ইউপি মেম্বর আজাদ সরদারকে গ্রেপ্তার করলেও তার জামাতা রানাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এঘটনায় সদর থানার সহকারি উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান জিয়া বাদি হয়ে গ্রেপ্তারকৃত তিনি আসামি সহ রানাকে পলাতাক আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
হরিনা গ্রামের গরু ব্যবসায়ি আব্দুর রাজ্জাক এর ৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে রানা, ইউসুফ, সোহাগ ও কেয়াশ। তিনি সদর উপজেলার আবাদেরহাট থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে গোবিন্দকাটি এলাকায় পৌছালে এই ছিনকাইয়ের শিকার হন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির তিন মাদক ব্যবসায়ি আটকের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মাদক ব্যবসায়ি রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/এএ