সাতক্ষীরায় গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের ভোট পুনঃবাছাই ও গণনার দাবী জানিয়েছেন একজন প্রার্থী। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিমপাতাখালী গ্রামের মৃত আমজাদ গাজীর ছেলে আমানউল্যাহ এই দাবি জানান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ১১ নং পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডের একজন সাধারণ সদস্য পদে মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। একই ওয়ার্ডে আহছান উল্লাহ ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি করেন। নির্বাচনের দিন সকাল ৮টা থেকে ৮৩ নং পশ্চিম পাতাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ভোট বাছাই কার্য ও গণনা শুরু হয়। প্রথমে চেয়ারম্যান ও তারপর সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ব্যালট বাছাই, গণনা ও মৌখিক ফল প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ সাধরণ সদস্য পদে রাত্রে ভোট বাছাই ও গণণা করা হয়। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহের বিঘ্নতায় ব্যালট বাছাই ও গণনার কার্য বিঘ্নিত, ভ্রান্তি ও ক্রটিপূর্ন হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকাকালীন টর্চ ও মোবাইলের অষ্পষ্ট অপ্রতুল আলোতে সাধারণ সদস্য পদ প্রার্থীদের ব্যালট যথাযথভাবে বাছাই না করে অনুমান নির্ভর ভাবে গণনার কার্য করা হয়। এরআগে ভোট চলাকালীন সময়ে ভোট গ্রহন শেষ হওয়ার পূর্বেই প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদিতে এজেন্ট গনের স্বাক্ষর প্রদানের জন্য কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বাধ্য করেন।
আমানউল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারগণ উদ্দেশ্যেমূলক ভাবে আমার মোরগ প্রতীকের ১১টি ব্যালট প্রতিপক্ষের ফুটবল প্রতিকের ব্যালটের মধ্যে রাখেন এবং ৩৮টি মোরগ প্রতীকের ব্যালট বাতিল দেখানো হয়। গণনা শেষে ফুটবল প্রতীক ৬৯৩টি ভোট, মোরগ প্রতীক ৬৮৬টি ভোট এবং তালা প্রতীক শুন্য ভোট দেখানো হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর প্রার্থীরা প্রতিবাদ করলে যথাযথ ভাবে প্রাপ্ত ভোট পূনঃ বাছাই ও গণনা করা হবে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। গণনা ও বাছাইয়ের ত্রুটি বাস্তবতা মেনে নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ও তার সঙ্গীয় ব্যক্তিগণ রিটানিং অফিসারের দপ্তরে পূনঃ বাছাই ও গণনা করবে বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় ভাবে ভোট কেন্দ্রে কোন ফলাফলের তালিকা না টাঙিয়ে রিটানিং অফিসারের দপ্তরে আসেন তারা। এরপর আমার ও অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি সদস্য প্রার্থীর আপত্তি উপেক্ষা করে তারা চলে যান।
তিনি আরো বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কেন্দ্রে যে ফলাফল তালিকা প্রকাশ করেন তাতে কেবল মাত্র চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যাদের ফলাফল। উক্ত ৯ নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্যদের ফলাফলের কোন তালিকা প্রদর্শিত হয়নি। প্রিজাইডিং অফিসার পরে “ফুটবল” প্রতীকের প্রার্থীকে নির্বাচিত হয়েছে বলে তালিকা প্রদর্শন করেন।
তিনি পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের ভোট পুনঃবাছাই ও গণনার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, একই ওয়ার্ডের তালা প্রতিকের প্রার্থী সঞ্জয় কুমার, মোরগ প্রতিকের পোলিং এজেন্ট নির্মল কুমার মন্ডল ও গাজী আল মামুন মিলন।
খুলনা গেজেট/ এস আই