১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সামনে রেখে খুলনা মহানগরীতে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করছেন একশ্রেণীর মৌসুমি বিক্রেতা। বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, গাড়িতে, রিকশায়; এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। বিজয়ের চেতনায় এ মাসের শুরু থেকেই জাতীয় পতাকার ব্যবহার বেড়ে যায়।
পতাকা বিক্রেতারা জানান, বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদ ও গাড়ির সামনে জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে রাখেন অনেকেই। ১৬ ডিসেম্বর সব অফিস ও প্রতিষ্ঠানেও উড়ানো হয় জাতীয় পতাকা। বিজয়ের মাসে জাতীয় পতাকার চাহিদা থাকে বেশি। তাই বিজয়ের মাসকে ঘিরে প্রায় সবাই কিনছেন জাতীয় পতাকা।
নগরীর সদর থানার মোড়ের পতাকা বিক্রেতা উজ্জল বলেন, আমরা ২১ জন মাদারীপুরের শিবচর এলাকা থেকে এসেছি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৫ দিনের জন্য তিনি এ ব্যবসায় নেমেছেন। বিজয় দিবসের সময় সবাই পতাকা কেনে। এ সময় এ ব্যবসা ভালো হয়। এ ব্যবসা এবারও ভালো হচ্ছে।
খুলনা মহানগরীর সদর থানা মোড়ে পতাকা কেনার সময় এসব কথা বলেন রোটারিয়ান নাসরিন হক শ্রাবনী বলেন, ১৯৭১ সাল দেখিনি। তবে লাল সবুজের পতাকা দেখলে হৃদয়ে এক ধরণের আবেগ তৈরি হয়। এ পতাকার জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। এ পতাকা আমাদের অস্তিত্ব। এ পতাকার জন্য আমরা স্বাধীনভাবে চলাচল করছি। বিজয়ের এই উল্লাসে লাল-সবুজ শুধুমাত্র দুইটি রঙই নয়, এ যেন অনুভূতির আরেক নাম।
এসময় তার পাশে থাকা লুৎফুর নাহার লাভলী, শামসুন্নাহার লিপি ও পাপিয়া রহমান পারুল বলেন, পতাকা দেখলে মনে হয় আমরা স্বাধীন জাতি। পতাকা আমাদের অনুভূতির জায়গা। পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন হয় দেশ। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় লাল-সবুজ রঙের জাতীয় পতাকা।