পাচঁকোটি ২৮ লাখ টাকা প্রতারাণা করে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সোনালী ব্যাংক এজিএম, মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে আদালতের বিচারক মো: শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দিয়েছেন।
আসামীরা হলেন- স্যার ইকবাল রোড়ের তৎকালীন এজিএম বর্তমানে জিএম অফিসে সংযুক্ত সুজিত কুমার মন্ডল, গোডাউন কিপার ব্যাংক কর্মকর্তা নূরুল আমিন সৌরভ ট্রেডাসের মিতা ভট্রাচার্ষ ও তার স্বামী সুজিত কুমার ভট্রাচার্ষ [লক্ষন বাবু]। মিতা ভট্রাচার্ষ দৌলতপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ।
দুদকের আইনজীবী খন্দকার মুজিবর রহমান জানান, সোনালী ব্যাংক, স্যার ইকবাল রোড় শাখার এজিএম থাকাকালে সৌরভ ট্রেডাস্ নামে এক পাট রপ্তানীকারক এই টাকা ঋন প্রদান করে ব্যাংক। গোডাউনে পাটের বিপরীতে এই টাকা দেওয়া হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোশারেফ হোসেন তদন্তকালে গোডাউনে কোন পাট পায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষ করে সম্প্রতি দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। ধাষ্যকৃত তিন তারিখ পার হয়ে গেলেও কেউ আদালতে জামিনের আবেদন করেনি। আজ পূর্ব নির্ধারিত ধাষ্যকৃত তারিখে দুদকের আইনজীবীর শুনানীর পর বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জার করেন এবং না পাওয়া গেলে তাদের মালামাল ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মিতা ভাট্রাচার্ষর সাথে যোগাযো্গ করলে তিনি জানান, তার আইনজীবীকে তিনি সময়ের আবেদন করতে বলেছেন। তিনি মামলা ও চাজশীটের কথা স্বীকার করেন। বলেন আইনের পদক্ষেপ নেয়া হবে কোন সমস্যা নেই । দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী জানান, মিতা ভট্রাচার্ষ থানা মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ।
সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম জানান, এজিএম সুজিত কুমার মন্ডল জেনারেল ম্যানেজার কার্ষলয়ে সংযুক্ত রয়েছেন। চার্জশীট হওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। চার্জশীট হলেও বিধি বিধান মতে তার সাময়িক বরখাস্ত হবার কথা। কিন্তু সুজিত কুমার মন্ডল দীর্ঘদিন ছুটিতে রয়েছেন। তিনি প্রতারণা করে পাচঁ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্নস্বাৎ করার মামলার কথা স্বীকার করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম