সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকাকে দূর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষনা করে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মান দ্রুত বাস্তবায়ন ও লবনাক্ত নিরাসনে পদক্ষেপ গ্রহনসহ ৫ দফা দাবীতে বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা বিন্দু নারী সংগঠনের নির্বাহি পরিচালক জান্নাতুল মাওয়া সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপকুলীয় এলাকার ১০ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন কর্মী সাদিয়া সুলতানা, তারিশা তাসনিম, তরিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশী ঝুকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা জেলার উপকুলীয় এলাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে সাইক্লোন, বন্যা, খরা, লবনাক্ততা, নদী ভাঙ্গন, বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন ও পানির সমস্যা সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকার মানুষের নিত্য সঙ্গী। সাতক্ষীরা জেলায় ৫ হাজার ৪০২টি পানির উৎস সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যাওয়ায় সুপেয় পানির সংকটে রয়েছে জেলা ১০ লক্ষাধিক মানুষ। এছাড়া ১৯৬০ থেকে ৬৫ সালের নকশায় তৈরী বেঁড়িবাধ ৩৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঝুকিতে রয়েছে। ২০০০সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে লবনাক্ত জমি ৩৬ হাজার হেক্টর বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে তারা সাতক্ষীরাসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় এলাকাকে দূর্যোগ প্রবন এলাকা ঘোষনা করে টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মান দ্রুত বাস্তবায়ন, নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা, লবনাক্ত নিরাসনে পদক্ষেপ গ্রহন, সুপেয় পানির উৎস পূনরাদ্ধার সুন্তরবন রক্ষা ও পরিকল্পনাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধসহ ৫ দফা দাবীতে তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
খুলনা গেজেট/এএ