মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের ধাক্কায় ৬শ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় পাঁচ নাবিকের মধ্যে দুই জন সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও তিন জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বন্দরের হারবাড়িয়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকার পশুর নদীতে সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিখোঁজদের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন, জাহাজের (সুকানি) মোঃ মহিউদ্দিন, (গ্রিজার) নূর আলম ও (স্টাফ) মোঃ রবিউল ইসলাম।
মোংলা কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের মিডিয়া উইংয়ের অফিসার মো. আবু সুমা জানান, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটিতে মোট পাঁচজন নাবিক ছিলেন। তাৎক্ষণিক ভাবে দুইজন নদী সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তিন জন নিখোঁজ রয়েছে তাদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন বলেন, দূর্ঘটনায় বন্দর চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। ঘটনার পরপরই সেখানে মার্কিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে।
বিদেশি জাহাজ ‘এলিনা বির’ স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজ জানান, বন্দরে অবস্থান করা বিদেশি জাহাজ ‘এলিনা বি’ থেকে ৬০০ টন কয়লা নিয়ে বাল্কহেড ‘ফারদিন-১’ ঢাকায় যাচ্ছিল। পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার সময় হ্যান্ডিপার্ক নামে অপর একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ‘ফারদিন-১’ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে সেটি কাত হয়ে নাবিকেরা নদীতে ছিটকে পড়েন। পরে পানি ঢুকে বাল্কহেডটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় বাল্কহেডটিতে একজন নিরাপত্তাকর্মীসহ ৭ নাবিক ছিলেন। তাদের মধ্যে নিখোঁজ পাঁচ নাবিককে উদ্ধারে কোস্ট গার্ড অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, হ্যান্ডিপার্ক জাহাজটি গত ১০ নভেম্বর টিএসপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে। পণ্য খালাস শেষে পানামা পতাকাবাহী হ্যান্ডিপার্ক জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দর ত্যাগ করার সময় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ফারদিন-১ বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খুলনা গেজেট/ এস আই