বাগেরহাটের চিতলমারীতে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মারপিটে ৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে একটি বৈদ্যুতিক মিটারের সার্ভিস তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহতদের পার্শ্ববর্তী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
কুনিয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ নাজির আহম্মেদের ছেলে সৈয়দ বদরুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশী সৈয়দ ফেরদাউস আলমের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন লোক আমাদের ভোগ দখলীয় জায়গার নারকেল গাছের নারকেল পাড়তে আসে। এ সময় আমার ভাই-বোনরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। আহতরা হলেন সৈয়দ জুয়েল (৩৫), মো. নুরে আলম (২৮), তাজুল ইসলাম (৪৬) ও লোপা খানম (৩০)। এ সময় হামলাকারীরা আমাদের দুটি খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগ করেছে। আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা হসপাতালে ভর্তি করেছি। আহতদের নিয়ে ছোটাছুটির কারণে এখনো থানায় অভিযোগ করতে পারিনি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সৈয়দ ফেরদাউস আলম বলেন, সৈয়দ বদরুল আলম সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই হয়। ওদের সাথে জায়গা জমি নিয়ে আমদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কয়েকদিন আগে আমাদের সীমানার ভিতর বেড়া দেয়। শনিবার সকালে সেই বেড়া সরাতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আমার আপন চাচাতো ভাই সৈয়দ রাজিব (৩০) আহত হয়েছে। তাঁকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছি। এ সময় ওরা আমাদের দুটি খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে আমার বসতবাড়ির বৈদ্যতিক মিটারের সার্ভিস তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে এলাকার মুরব্বিরা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তাই থানায় কোন অভিযোগ করিনি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শেখ আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টি শোনার সাথে সাথে আমরা আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ সার্ভিস তার ও মিটার খুলে এনেছি।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, এ ধরণের অভিযোগ কোন পক্ষই আমাদের কাছে করেননি। অবশ্যই আমরা এ ঘটনার খোঁজ-খবর নিব।
খুলনা গেজেট/এনএম