খুলনার কয়রায় একই পরিবারের তিন সদস্যের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত হাবিবুল্লাহ গাজীর মা কোহিনুর খানম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে গত মঙ্গলবার কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলা নম্বর ২৪/২১। পুলিশ হেফাজতে থাকা চার জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই মামলায় তিন জনকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, নিহত পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় ঘটনার দিন চার জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার ৩ জনকে আটক দেখিয়ে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আসাদুল ইসলাম ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আটকৃতরা হলেন, বামিয়া গ্রামের মৃত কওছার গাজীর পুত্র জিয়াউর রহমান জিয়া (৪১), কুদ্দুস গাজীর স্ত্রী সুলতানা (৩৮) ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের মৃত্যু মোকছেদ আলী সরদারের পুত্র আঃ খালেক (৬৫) ।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, ঘুগরাকাটী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঘুগরাকাটি বাজারে মেধাবী শিক্ষার্থী ও ক্লাস মনিটর হাবিবা সুলতানা টুনি ও তার বাবা-মা`র হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় হাবিবা সুলতানা টুনির সহপাঠীরা শোকে ভেঙে পড়ে। মানববন্ধনে মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তৃতায় হাবিবা সুলতানা টুনি ও তার বাবা-মা’র হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, কয়রায় বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বসবাসকারী মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুকুরে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। নিহতরা হলেন, বামিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ গাজীর পুত্র হাবিবুল্লাহ গাজী (৩৩), তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (২৫) ও একমাত্র কন্যা হাবিবা খাতুন টুনি (১৩)। হাবিবুর পেশায় দিনমজুর, তার স্ত্রী গৃহিনী ও একমাত্র মেয়ে হাবিবা খাতুুন টুনি ঘুগরাকাটী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী। হাবিবা ওই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস মনিটর ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই