সাতক্ষীরায় টানা চারদিন পর গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গে এক নারীসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৭৩০ জন। তবে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি।
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের দূর্গা পদ দত্তের ছেলে কমল কুমার দত্ত (৮০) ও খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের মোক্তার আলীর স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৬৫)।
সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে গত ২২ ও ২৭ অক্টোবর তারা সামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ অক্টোবর বেলা পৌনে ১২টা ও রাত ৯টার দিকে তারা মারা যান।
সামকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩০ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ কোন রোগী নেই। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৩ জন ও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ জন। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছেন ৫ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড় এন্টিজেন কীটে ১টি ও সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৪৪টি মিলে মোট ৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করো করোনা সনাক্ত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, শুরু থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৯৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করে সাতক্ষীরা জেলায় ৬ হাজার ৮৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়। এসময় জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭৩২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছে ২ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ৪৯ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৭ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছে ২জন। জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন ৭৩০ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, জেলায় ৮৭ হাজার ৮২৬ জন এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ও ৮০ হাজার ৬১ জন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া গত ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় সেনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৯২১ন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৩৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ হাজার ৪২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৫৭৮ জন।
খুলনা গেজেট/এএ