সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে একজন ও মটরসাইকেল ও ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মাছ ব্যবসায়িসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো ১০ বাসযাত্রী। বৃহস্পতিবার (২১অক্টোবর) দুপুরে পাটকেলঘাটা থানাধীন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাঁকদাহ ব্রীজ এলাকায় ও আশাশুনির বড়দলে পৃথক এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বাসের কনডাক্টর সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার আব্দুস সালাম সরদারের ছেলে রানা সরদার (৩০) ও মটরসাইকলে চালক আশাশুনি উপজেলার লাউাতাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন গাজীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ি মোঃ খলিল গাজী (৫২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহি বাস খুলনার দিকে যাওয়ার সময় বেলা ১১টার দিকে পাটকেলঘাটা থানাধীন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের শাঁকদাহ ব্রিজের সংলগ্ন ভৈরবনগর এলাকায় পৌছালে হঠাৎ বাসের সামনের একটি চাকা ফেটে যায়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এ সময় খাদের পানির মধ্যে বাস চাপা পড়ে কনট্রাক্টর রানা নিহত হয়। এঘটনায় বাসের ১০ যাত্রী আহত হয়।
আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার তলুইগাছা গ্রামের মতলেব সরদারের ছেলে সাজ্জাত সরদার (৫০), শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল বারীর ছেলে ফরহাদুজ্জামান (২৪), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের বদরউদ্দিনের ছেলে নওশের আলী (৭৫), চুকনগর গ্রামের সিরাজ সরদারের ছেলে আল আমিন (২৮) ও রনিজৎ কর্মকার (৪০)সহ ১০ জন।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের আবদুল হাকিম জানান, মাছ ব্যবসায়ি খলিল গাজী একটি মটরসাইকেলে আশাশুনি থেকে গ্রামের বাড়ি লাউতাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে বেলা ১টার দিকে বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিনভ্যানের সাথে তার মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই