জন্মের পর শিশুদের শরীরে নানান রোগ দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে র্যাশ। র্যাশের অন্য নাম ডারমাটাইটিস।
র্যাশ হলে ত্বকে ফোলাভাব, রঙ বদল, লালচে, শুকনো ও খসখসে হয়ে থাকে। এছাড়া ক্ষত হয়ে পানি জমা, চামড়ার ক্ষত বা ঘাঁ হতে পারে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার বলেন, জন্মের পর অনেক শিশুর র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়।
শিশুদের জলবসন্ত, হাম, রুবেলাসহ নানাবিধ সংক্রমণে বিভিন্ন ধরনের র্যাশ হতে পারে। তবে জ্বর বা সংক্রমণ ছাড়া র্যাশ সাধারণত ত্বকে অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে।
শিশুদের যে ধরনের র্যাশ হয়ে থাকে-
শিশুদের একজিমা প্রায়ই হয়ে থাকে। এর অন্য নাম এটোপিক ডারমাটাইটিস। ত্বক, কনুই, হাঁটুতে এই রোগ হয়ে হয়। যা লাল, খসখসে বা ত্বক ফুলে ওঠে ও শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। একজিমা হলে অতি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।
কী করবেন
শিশুর র্যাশ হলে অবশ্যই চিকিৎসক বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। তবে আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে- র্যাশ চুলকানো ঠিক নয়। এতে চামড়ার ক্ষত বা সংক্রমণ হয়। প্রয়োজনে চুলকানির ওষুধ খেতে হবে।
ইমোলিয়েন্ট বা আর্দ্রতা রক্ষাকারী ময়েশ্চারাইজার ত্বকে ব্যবহার করা যাবে। এতে ত্বক পানি ধরে রাখবে ও নরম কোমল থাকবে। আর কড়া সূর্যালোকে বেড়ে গেলে সানস্ক্রিন লাগানো ভালো।
খুলনা গেজেট / এমআর