অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌরসভার অর্ন্তভুক্ত অধিকাংশ রাস্তা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলের অনুপোযোগী হয়েছে পড়েছে রাস্তাগুলো। এ সড়ক গুলোতে যাতায়াতের সময় বাস, ট্রাক, মাইক্রো, এম্বুলেন্স, ইজিবাইক, ভ্যানসহ অনেক পথচারি প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ডুবে থাকা কয়েকটি রাস্তায় চলাচল করতে যেয়ে অনেকেই হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রেমবাগবাগ ইউনিয়নের উড়োতলা থেকে বনগ্রাম ৪ কিঃ রাস্তা, চেঙ্গুটিয়া বুড়োর দোকান থেকে বাহিরঘাট স্কুল পর্যন্ত ৪ কিঃ মিঃ। চেঙ্গুটিয়া থেকে চাপাতলা মালোপাড়া হয়ে নগরঘাট পর্যন্ত ৬ কিঃ মিঃ। চায়না মাকের্টের পাশে পালপাড়া পাকের গাতী হয়ে প্রেমবাগ মহাজেরপাড়া, চেঙ্গুটিয়া লবন মিলমোড় থেকে ঘোপেরঘাট, দত্তপাড়া হয়ে মিস্ত্রিপাড়া পর্যন্ত ইউনিয়ন ও পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ আধাপাকা ও পাকা রাস্তা গুলো এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
এসব রাস্তা গুলো বছরের বিভিন্ন সময় নাম মাত্র মেরামত করার কারনে কয়েকদিনের মধ্যে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। এসব সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রায় ৪০/৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্তু রাস্তা গুলো বড় বড় গর্তের কারনে যানবাহন মানুষ ও যানবাহন চলাচল করা দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে। রাস্তার পিচ উঠে, কাদা মাটি বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে কয়েকটি রাস্তায় ইটের রাবিশ, খোয়া, আধলা দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য মেরামত করলেও সে রাস্তাগুলোতে বৃষ্টির পানিতে উঠে গেছে । এদিকে সরখোলা হয়ে মশিয়াহাটি রাস্তাটি অনেক টাকা ব্যয় করে সংস্কার করা হলেও রাস্তার পাশে থাকা ঘেরের কারনে রাস্তাটি আবার ভেঙ্গে গেছে।
ভানচালক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ইট সলিং করে গর্ত ভরাট করলেও তেমন কোন সুফল মেলে না। সামান্য বৃষ্টিতেই ভ্যানের চাকা গর্তে বসে যায়।’
সুমন সরদার, আলমগীর হোসেন, মিলন হোসেনসহ কয়েকজন ইজিবাইকচালক জানান, তাদের গাড়ি গুলো প্রতিদিন নষ্ট হয়ে যায় রাস্তার এ অবস্থার কারনে।
রাস্তা গুলোর খারাপ অবস্থার কারণে মানুষ চলাচল করতে অনেক সমস্যায় পড়ছেন। তাছাড়াও রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে অনেক সময় এ রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে। ।
রাজু আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ্য, তাকে হাসপাতালে নিতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। বতর্মানে অনেক রাস্তা ডোবা নালায় পরিনত হয়েছে। খুব দ্রুত রাস্তা গুলো প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দিলে আমাদের চলাচল দুসাধ্য হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়টি নিয়ে প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মোঃ মফিউদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে ইউনিয়নের রাস্তা গুলো সংস্কার করা হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থাকাকালীন উপজেলার সব রাস্তা গুলো পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমি ছুটিতে আছি।’
খুলনা গেজেট/ এস আই