সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীসহ তার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে সাতক্ষীরা শহর থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মারুফ হোসেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হেমায়েত উদ্দীনের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক। তিনি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির জানান, বুধবার সকাল ১১ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মারুফ হোসেন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইন ও তার নেতাকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার ২নং আসামী।
উল্লেখ্য কলারোয়া উপজেলার ৫ নং কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে গত ৫ সেপ্টেম্বর (রোববার দুপুরে) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেনের মোটর সাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনা জানাজানি হলে, বিকেলে মারুফ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা পাল্টা কাকডাঙ্গা মোড় এলাকায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় রাত ৮টার দিকে বোয়ালিয়া উত্তর পাড়া এলাকায় আওয়ামীলীগের আর এক বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিল ও নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ভুট্টোলাল গাইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নৌকার প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়।
এদিকে এঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভুট্টোলাল গাইনের স্ত্রী শ্যামলী রানী গাইন বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর রাতে দুই বিদ্রোহী প্রাির্থীসহ ৩৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ব্রিদোহী প্রার্থী মারুফসহ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এবং দলীয় প্রার্থীর (নৌকার) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও দলীয় প্রার্থীসহ তার কর্র্মীদের মারপিট করে আহত করার ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন হাবিলকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।