সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৫ কর্মীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এসময় চায়ের দোকানে বসা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মইনুর ইসলামকেও মারপিট করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের আটুলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন, তালা উপজেলার দোহার গ্রামের আরশাদ গোলদারের ছেলে সাইদ গোলদার (৪৫), রহিম বকসের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৮) ও আটুলিয়া গ্রামের সলিম সরদারের ছেলে মশিয়ার রহমান (৪২), ইনতাজ আলীর ছেলে সাইদ (৩০) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে মঈনুর হোসেন (৪০)।
নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মেম্বার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সানা, আমিনুর ইসলাম ও আটুলিয়া বাজারের মুদি দোকনী আশরাাফুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটুর কর্মীরা আটুলিয়া বাজারের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তির ভাই সাদেক সরদার ও মোশারফ সরদার মশার নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের উপর হঠৎ হামলা চালিয়ে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ৫ জনকে গুরুত্বর আহত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তির ভাই সাদেক সরদার, মোশারফ সরদার মশা, মকবুল ও সমির বেহারা তাদরকে হুমকি দেয়।
তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে সন্ত্রাসী ক্যাডারদের দিয়ে তার কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের উপর অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রাতের আধারে পোস্টার, ব্যানার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। শান্ত এলাকাকে অশান্ত করে তুলছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম মুক্তি এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।
তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই