মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

সাতক্ষীরায় পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও পিতা হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় হত্যা মামলার আসামীরা বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পিতা হত্যার বিচার দাবি করে এই অভিযোগ করেন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবদুর রহমান রাজু।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পিতা রফিকুল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাটিকুমড়া গ্রামে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু প্রতিবেশী মৃত ইমান আলী সরদারের ছেলে বাসারত হোসেন (৩৮) ও তার স্ত্রী বাসিরুন্নাহার ওরফে তারা (৩০) দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবা ও মায়ের সাথে গোলোযোগ ও নানারকম হয়রানি করে আসছিলেন। তারা দীর্ঘদিন আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তায় ময়লা আবর্জনা, গরুর গোবর, রান্নার ময়লা ও ছাইসহ নানারকম ময়লা ফেলে রাখত। এই বিষয়ে তাদরেকে বললে তারা আমার বাবার সাথে ঝগড়া করতো। ফলে ওই ময়লা আবর্জনা আমার পিতা নিয়মিত নিজ হাতে পরিস্কার করতেন। একপর্যায় ২০২১ সালের ৪ মে সকাল ৮টার দিকে বাড়ির সামনে ময়লা ফেলা নিয়ে আমার বাবার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাসারত হোসেন ও তার স্ত্রী বাসিরুন্নাহার বাবাকে এলোপাতাড়ি চড়, থাপ্পড়, লাথি ও কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়ে। আমরা মা সহ আমরা বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তারা আমার বাবাকে মাটিতে ফেলে বুকে সজোরে আঘাত করে। এসময় আমার পিতা উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করলে বাসারত ও বাসিরুন্নাহার বুকে লাথি মেরে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ওই পুকুরের মধ্যে গিয়ে বাসিরুন্নাহার আমার পিতার দুই হাত চেপে ধরে এবং বাসারত তার বুকে সজোরে লাথি মারলে আমার পিতা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আমরা ওইদিন দেবহাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি।

আবদুর রহমান রাজু অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতার হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রায় চার মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। আসামীরা মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্যে আমাদেরেকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশের তেমন কোন তৎপতরতা আমাদের চোখে পড়ছে না। ফলে আমরা আশংকা করছি যে, মামলা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা আসামীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে পিতার হত্যার ন্যায় বিচার থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে পারেন।

তিনি আরো বলেন, পিতাকে হারিয়ে আমরা এতিম ও অসহায় হয়ে পড়েছি। অন্যদিকে মামলার ১নং আসামি বাসারতের শ্বশুর এবং ভাইরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। পিতার হত্যাকারীদের নানামুখি হুমকির মুখে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তিনি পিতা হত্যার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে অসহায় পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও পুলিশ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন