প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিবন্ধনের জন্য সুরক্ষা অ্যাপেও নতুন ক্যাটাগরি যুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা জরুরি। এ লক্ষ্যেই সুরক্ষায় তাদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
দেশে টিকা নিবন্ধনের শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে নিবন্ধন কম হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনতে বয়সসীমা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সে সময় ৫৫ থেকে বয়স কমিয়ে ৪৪ বছর করা হয়।
এরপর ২য় দফায় কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় টিকা গ্রহীতাদের বয়স কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়। চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। এরপর পঞ্চম দফায় আবারও টিকা নেওয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার।
২৩ জুলাই করোনা প্রতিরোধে টিকার সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৮ বছর করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম। তখন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।
এর আগে ১৪ জুলাই করোনার টিকার আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনার উদ্দেশ্যে টিকাগ্রহীতার বয়সসীমা ১৮তে নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছিল সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
খুলনা গেজেট/এনএম