বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংগঠনটির সভাপতি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
এর আগে ইউএনও ও পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলাতেই প্রধান আসামি করা হয়েছে মেয়র সেরনিয়াবাতকে। তাঁর নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বরিশাল সদরের ইউএনও’র বাসভবনে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বরিশালের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী অফিসার কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন। তাঁর বাসায় হামলা করা হয় যেখানে তাঁর করোনা আক্রান্ত অসুস্থ পিতামাতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতেই উক্ত কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে, তাঁর বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁর চামড়া তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে শ্লোগান দিয়ে মিছিল করা হয়েছে। মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তাঁর দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং সমস্ত জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, বরিশালের মেয়র, যাঁর অত্যাচারে সমগ্র বরিশালবাসী অত্যন্ত অতিষ্ঠ, সেই সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর হুকুমেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। অতএব, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অবিলম্বে তাঁর গ্রেপ্তার দাবি করছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম