সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের জনগুরুত্বপূর্ণ জগবাড়ীয়া খাল ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধারপূর্বক নেটপাটা ও আড়াআড়ি বাঁধ অপসারণ করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। বুধবার (১৮আগস্ট) দুপুরে চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর নেতৃত্বে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শতাধিক মানুষ বেড়িবাঁধ কেটে ও নেট পাটা উচ্ছেদ করে ভুমিদস্যুদের কবল থেকে খালটি উন্মুক্ত করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ জগবাড়ীয়া খালটি দখল করে নেটপাটা ও আড়াআড়ি বাধ দেওয়ায় বর্ষার পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে খালটি দখলমুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণনগর এলাকাবাসী। গত ১৫ এপ্রিল স্থানীয় জেলে সমিতির সভাপতি কুমার মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক রবিন মন্ডলসহ ৩১জন স্বাক্ষরিত অভিযোগ পেয়ে ইউএনও তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
সূত্র আরো জানায়, জগবাড়ীয়া খালটি একসময় মুক্ত ও মাছে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু স্থানীয় আজিজ গংরা ইজারার যাবতীয় শর্ত ভঙ্গ করে স্থায়ী বেড়িবাঁধ দিয়ে খালটি নিজেদের মৎস্য ঘের বলে মাছ চাষ করে আসছে। পূর্বে ইউনিয়নের অসংখ্য নিরীহ গরীব জেলে ও অসহায় নর-নারী এই খালে মাছ ধরে আমিষের চাহিদা পূরণসহ জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন্তু বেশ কিছু বছর ধরে কতিপয় ভূমিদস্যু বেড়িবাঁধ ও পাটা ব্যবহার এবং মাটি ভরাট করে সরকারি সম্পত্তিকে নিজেদের কব্জায় এনে স্থায়ীভাবে দখলের চেষ্টা চালান। পাশাপাশি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আব্দুল আজিজ শেখ বানিয়াপাড়া খালের প্রায় ২৭ (সাতাশ) বিঘা জমি নিজের ইচ্ছেমতো দখল করে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেড়িবাঁধের মাধ্যমে মাছের প্রজেক্ট করে দীর্ঘদিন দখল করে মাছ চাষ করে আসছিলেন।
নেটপাটা উচ্ছেদকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জালালুর রহমান ও মৌতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারীবৃন্দ।
খুলনা গেজেট/ টি আই