সাতক্ষীরা পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের সাকলা স্লুইস গেট দিয়ে ৫টি ইলেকট্রিক সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও পৌরসভার উদ্যোগে শুক্রবার (১৩ আগষ্ট) সকালে এই পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা, কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা, মহিলা কাউন্সিলর নুর জাহান, অনীমা রানী মন্ডল, রাবেয়া পারভিনসহ ব্রহ্মরাজপুর ও ধূলিহর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।
প্রসঙ্গতঃ প্রতিবছর বর্ষ মৌসুমে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার ইটাগাছা, কামালনগর, বদ্দিপুর, পুরাতন সাতক্ষীরা, ঘুড্ডির ডাঙ্গি, রসুলপুর, মেহেদিবাগ, বকচরা, সরদারপাড়া, পলাশপোল, কাটিয়া, ঝুটিতলা, লস্করপাড়া, ইটাগাছা, বাগানবাড়ি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সরকারি খাল ও পানি নিষ্কাশনের পথ দখল করে অপরিকল্পিত মাছের ঘের করার কারণে সামান্য বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। একদিকে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল দখল, নদী ভরাট, অপরদিকে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে আটকে গেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার পানি নিস্কাশনের পথ। এতে করে বছরের প্রায় অর্ধেক সময় পৌরসভার অধিকাংশ নিম্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা থাকে।
অপরদিকে পৌরসভার এসমস্ত পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর বন্যার কবলে পড়েন পৌরবাসী। তবে পানির চাপ বেশি হলে এসমস্ত পানি পৌর এলাকার অপরিকল্পিত ঘেরের উপর দিয়ে সদর উপজেলার লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ফিংড়ি ও ধুলিহর ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে। লোকালয় ছাড়া বেতনার তলদেশ উঁচু হওয়ায় এসমস্ত পানি বেতনা নদীর বেড়িবাঁধে আটকে যায়। ফলে পৌরসভার পানি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ফিংড়ি ও ধুলিহর ইউনিয়নবাসীর জন্য।
খুলনা গেজেট/ টি আই