জুভেন্টাসকে হাারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার পরই ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা জানিয়ে দিয়েছিলেন কোনো ভাবেই হালকা ভাবে নিচ্ছেন না লিওঁকে। গার্দিওলার ভয় সত্যি হলো, লিওঁর কাছে ৩-১ গোলের হারেই শেষ আট থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকে বিদায় জানাতে হলো রাহিম স্টার্লিংদের।
সবশেষ ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে খেলেছিল লিওঁ। অন্যদিকে এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলো ম্যানচেস্টারের দলটি।
প্রথমার্ধে তারা এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। বিরতির পর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা মুসা দেম্বেলে ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। ম্যানসিটির হয়ে একটি গোল শোধ দেন কেভিন ডি ব্রুইন।
শনিবার ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় লিড নেয় লিওঁ। এ সময় ম্যাক্সওয়েল কর্নেটের নেওয়া বাঁকানো শট জালে জড়ায়। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় অফসাইড চেক করার পর গোলটি টিকে যায়। আর লিওঁ উল্লাসে ভাসে। কর্নেটের গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ফরাসি ক্লাবটি।
বিরতিতে যাওয়ার আগে প্রথমার্ধের শেষ ১০ মিনিট সব উজাড় করে লড়েছে ম্যান সিটি। বেশ ভালো সুযোগও পেয়েছিলো তারা। কিন্তু ৪২ মিনিটে স্টার্লিং এর বাড়ানো বল গোলে রূপ দিতে পারেননি মিডফিল্ডার রদ্রি। ফলে পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিকরা।
বিরতির পরও বল দখলে এগিয়ে থাকে ম্যান সিটি। ফলাফল আসে ৬৯ মিনিটে। সেই স্টার্লিংয়ের অ্যাসিস্টেই জালের ঠিকানা খুঁজে পান ক্যাপ্টেন ডি ব্রুইনি। সমতায় ফেরে পেপ গার্দিওলার দল।
তবে, সমতায় ফিরেও স্বস্তি মেলেনি স্বাগতিকদের। ৭৯ মিনিটেই আবারো এগিয়ে যায় লিওঁ। এবার অতিথিদের হয়ে স্কোরখাতায় নাম লেখান মৌসা ডেমবেলে। ডি বক্সের ভেতরে কোন বাধা ছাড়াই দলকে এগিয়ে নেন এই ফরোয়ার্ড। যদিও এই গোল নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিটি। তবে, তা ধোপে টেকেনি।
আবারো সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করেছিলেন স্টার্লিং। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মৌসুমে ৩১ গোল করা এই মিডফিল্ডার। যা হতাশা পৌছে যায় ডাগআউটেও।
এরপর ম্যাচের ৮৭ মিনিটে লিওঁ-র হয়ে আরো একটি গোল করেন ডেমবেলে। তাতে জয়ের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যায় অতিথিরা।
খুলনা গেজেট/এএমআর