প্রথম দশ ওভারের ভেতরই নেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটার। বাংলাদেশ দলের এরপরও আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
তারাও অবশ্য যেতে পারেননি ইনিংসের শেষ অবধি। এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৯২ রানে।
এরপর বোলারদের জন্য করার ছিল সামান্যই। যদিও বাংলাদেশের তিন পেসারই করেছেন দুর্দান্ত। তবুও ম্যাচ হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। তবে ম্যাচের পর অধিনায়ক সাকিব বলছেন, শুরুতেই ম্যাচ হেরে গিয়েছিলেন তারা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়েও হতাশা ছিল তার কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ম্যাচের শুরুতেই হেরে গেছি। তারা খুব ভালো বোলিং করেছে, আমরা বেশ কিছু বাজে শট খেলেছি। এ রকম একটা উইকেটে প্রথম দশ ওভারে আমাদের চারটি উইকেট হারানো ঠিক হয়নি। আমার আর মুশফিকের জুটি ভালো ছিল। আরও ৭-৮ ওভার আমরা খেলতে পারতাম তাহলে একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতো। আমি আউট হওয়ার পর আর কোনও জুটি হয়নি। এ রকম একটা উইকেটে খুবই বাজে ব্যাটিং হয়েছে। এটার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হবে। ’
পাকিস্তানের তিন পেসারেই দিশেহারা ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দশ উইকেটের মধ্যে নয়টিই নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। তাদের গতিতেই পরাস্ত হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সাকিবের কণ্ঠেও ছিল তাদের প্রশংসা।
তিনি বলেন, ‘তারা র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল। এ কারনেই তারা এক নম্বর দল। তাদের তিনজন ফ্রন্টলাইন বোলার আছে, যারা খুব ভালো করছে তারা নেয় তাহলে তাদের ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমরা ভালো করছি বোলিংয়ে, কিন্তু ব্যাটিংয়ে উত্থান পতন আছে। আমাদের ধারাবাহিকতা হতে হবে। ’
‘আমার মনে হয় আমাদের তিনজন পেসার ব্রিলিয়্যান্ট বোলিং করেছে। পাকিস্তানের মতো আমাদের প্রথম সারির তিনজনও গত কয়েক বছর ভালো বোলিং করেছে। তারা এটা আজকেও দেখিয়েছে। যদিও উইকেট পায়নি। কারণ এমন উইকেটে ব্যাটাররা ভুল না করলে উইকেট পাওয়া কঠিন।’
খুলনা গেজেট/ টিএ