যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলের ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। রোগাক্রান্ত ধানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ধোপাদী গ্রামের ছুন্দার বিলের ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে । দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ব্রি ধান চাষ করেছেন মহের আলী মোল্যা। তার ফসলে ব্লাস্টরোগ দেখা গেছে। বেশির ভাগ ধানে চিটা পড়েছে। খরচ ওঠাতে হিমশিম খেতে হবে। তার চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের এক হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ হেক্টর জমির ধান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৩ জন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে উত্তম দত্ত জানান, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা বিলের ১০ বিঘা জমিতে তিনি বোরো ধান রোপন করেছিলেন। সম্প্রতি ধানের ফলন আসার পর থেকে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় তিন বিঘা জমির ধানে ব্লাস্টরোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
কৃষক ত্রিনাথ দত্ত জানান, চলতি বোরো মৌসুমে তিন বিঘা জমিতে তিনি ধান রোপন করেছেন। যে ধান তার পরিবারের এক বছরের খাবারের যোগান দিয়ে থাকে। ওই জমির এক বিঘা ধানে ব্লাস্টরোগ আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন) শেখ অলিয়ার রহমান জানান, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সিদ্ধিপাশা মৌজায় বোরো ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। রোগাক্রান্ত ধানের রোগ প্রতিরোধে বিঘা প্রতি পাঁচ কেজি পটাশ ও ধান ক্ষেতে এক ইঞ্চি পরিমান পানি রাখা এবং ছত্রাক নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন মুঠোফোনে জানান, ইতোপূর্বে ব্লাস্টরোগ প্রতিরোধে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হয়েছে। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ধানে এবার ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদেরকে প্রণোদনার আওতায় এনে সরকারিভাবে সহায়তা প্রদাণের চেষ্টা করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি