যশোরের অভয়নগরের ভৈরব নদে ৬৮০ মেট্রিক টন সরকারি ইউরিয়া সার বোঝাই এমভি শারিব বাঁধন নামে ডুবে যাওয়া সেই জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি। চার দিনেও উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় নৌযান চলাচলে ব্যহত হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যে জাহাজ উদ্ধারের সময় বেঁধে দিয়েছে নৌবন্দর কর্র্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, টোটাল শিপিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান বিসিআইসির কার্যাদেশে কাতার থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করে। গত ২১ জানুয়ারি চট্রগ্রাম বন্ধরে থেকে এমভি শারিব বাঁধন নামে একটি কার্গোজাহাজ ৬৮০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার লোড করে নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পৌঁছালে ভৈরব নদে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে ৬৮০ মেট্রিক টন বা ১৩ হাজার ৬০০ বস্তা সার ছিল। যার মূল্য আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
স্থানীয় সচেতনমহল জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজের ইউরিয়া সার নদীর পানির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে পানি দূষণ হয়ে জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। ত্রæটিপূর্ণ নৌযান ও নদী দখল রোধে বিআইডবøুটিএ’র উদাসিনতা রয়েছে। যে কারণে বার বার নওয়াপাড়া নৌবন্দর এলাকায় সার ও কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে রবিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ভৈরব নদে গিয়ে দেখা গেছে, এমভি শারিব বাঁধন জাহাজটি নদের মাঝামাঝি স্থানে ডুবে রয়েছে। নৌবন্দর কর্তৃৃপক্ষ ডুবে যাওয়া জাহাজের দুই পাশে লাল রঙের পতাকা টানিয়ে নৌযান চলাচলে সতর্ক করে দিয়েছে। জোয়ার না থাকায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আমদানীকারকদের অভিযোগ, ডুবে যাওয়া জাহাজ এখনও উদ্ধার না হওয়ায় নৌপথে আসা পণ্য সঠিক সময়ে আনলোড করা যাচ্ছে না। ফলে নৌযান ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করার দাবি করেন তারা।
খুলনা নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, অভয়নগরের ভৈরব নদে ডুবে যাওয়া এমভি শারিব বাঁধন জাহাজ উদ্ধারে সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হলেও মালিক পক্ষ তা নাকচ করে দিয়েছেন। মালিক পক্ষ নিজ উদ্যোগে উদ্ধার কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার সজীব হোসেন জানান, ঢাকা থেকে আসা ডুবুরী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জাহাজ মালিকের উদ্যোগে উদ্ধার কাজ দ্রæত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রæয়ারি) সকালে অভয়নগর উপজেলায় নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকার পীরবাড়ী ঘাট সংলগ্ন ভৈরব নদে ৬৮০ মেট্রিক টন সরকারি ইউরিয়া সার বোঝাই এমভি শারিব বাঁধন নামে একটি কার্গোজাহাজ ডুবে যায়।