দীর্ঘ ৬০বছরেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি চুকনগরে বয়ারসিং পশ্চিমপাড়া কালি মন্দিরে। আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমানে মন্দিরটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। মন্দিরটিতে আজও কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন কঠিন হয়ে পড়েছে। কথা গুলো অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানিয়েছে মন্দির কমিটির সভাপতি প্রণব কান্তি রায়।
ডুমুরিয়া উপজেলার বয়ারসিং গ্রামের বৃদ্ধ কুশিলাল মন্ডল (৮০), সুভাষ মন্ডল (৭২), সুধীর মন্ডল (৭৫) ও প্রফুল্ল মন্ডল (৭৩) জানায়, সে সময় এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা করার জন্য কোন মন্দির না থাকায় ১৯৬২সালে তাদের বাপ দাদারা ছোট্র একটি ঘর বানিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পূজা শুরু করে। এরপর ধীরে ধীরে গ্রামবাসী মিলে একটি মাটির ঘর পূজা মন্দির তৈরি করে সেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে থাকে। পরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিজেদের অর্থ দিয়ে এবং পাশের সরকারী একটি জলাকারের আয়ের টাকা দিয়ে ছোট করে একটি বিল্ডিং করে। আর সেই বিল্ডিয়েই আজ পর্যন্ত তারা বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। কিন্তু অধ্যাবধি মন্দিরটির উন্নয়নের জন্য তারা কোন আর্থিক অনুদান পাননি। নিরুপায় হয়ে অত্র এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই ছোট্র একটি টিনের ছাউনি ঘরে পূজা পার্বন করে আসছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে পুরনো টিনের ছাউনী ফুঁটো হয়ে মন্দিরের ভিতর পানি পড়ে। যা তাদেরকে প্রতিনিয়ন মর্মাহত করে। তাই এলাকাবাসীর উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের দাবি মন্দিরটির উন্নয়নের লক্ষ্যে তাদের কিছু সরকারী বরাদ্দ দেয়া হোক।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ বলেন, মায়ের মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কোন বক্তব্য নয়। তবে মন্দির কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক আমার সাথে যোগাযোগ করলে আমি খুলনা ৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ ও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল চন্দ্র বৈরাগীর সাথে আলোচনা করে অবশ্যই আমরা মায়ের মন্দির উন্নয়নের চেষ্টা করবো।