খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) আসন্ন নির্বাচনে ৫টি ওয়ার্ডের সবগুলো ভোট কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। অবশ্য পুলিশের ভাষায় এবং দাপ্তরিক কাগজে এগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভোট কেন্দ্র বলা হয়। এ বছর কেসিসির ৫৫ ভাগ ভোট কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয় ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিতব্য কেসিসি নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৮৯টি। নির্বাচনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভোট কেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারণ’ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এ বছর ১৬১টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, নগরীর ৪, ৬, ৭, ১০ ও ২৮নং ওয়ার্ডের সবগুলো ভোট কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ১৬, ১৯ ও ২২নং ওয়ার্ডে ১টি করে বাদে অন্য সব কেন্দ্র রয়েছে গুরুত্বপূর্ণের তালিকায়। তবে নগরীর ১৩, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ডের সব কেন্দ্র রয়েছে সাধারণের তালিকায়। এসব কেন্দ্রে সংঘাতের আশংকা কম বলে মনে করছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যে কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বেশি, কোনো প্রার্থীর বাড়ির সন্নিকটে ভোট কেন্দ্র কিনা, প্রভাব বিস্তারের আশংকা, যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার এবং সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১৫ জন আনসার মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের ৬টি, ৬নং ওয়ার্ডে ৯টি, ৭নং ওয়ার্ডের ৪টি, ১০নং ওয়ার্ডের ১২টি এবং ২৮নং ওয়ার্ডে ৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ৫টি ওয়ার্ডের ৪০টি ভোট কেন্দ্রের সব কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ১৬নং ওয়ার্ডে ১৩টি ভোট কেন্দ্রের ১০টি, ১৯নং ওয়ার্ডের ৮টি ভোট কেন্দ্রের ৭টি, ২২নং ওয়ার্ডের ৮টি ভোট কেন্দ্রের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশ কমিশনার জানান, নির্বাচনের কাজে ৩ হাজার ৫৬৭ জন পুলিশ, ৩০০ জন আর্মড পুলিশ ও ৪ হাজার ৬৫৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। বাইরের জেলা থেকে পুলিশ আনতে হতে পারে। কেএমপি সদর দপ্তরে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়