বিপিএলের শুরুটা হেরেই করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। কিন্তু ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে এসে আবারও পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল দলটি। বরিশালের দেয়া ২০৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৭৬ রান করলে ২৬ রানের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের ।
বরিশালের দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল চট্টগ্রামের। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো উসমান খান ঝলক দেখান এবারও। কিন্তু তাকে বিপদ হয়ে উঠতে দেননি কামরুল ইসলাম রাব্বি। দলীয় ৪৮ রানে দুর্দান্ত একটি ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উসমান। ১৯ বলে ৩ চার ও ৩ ছয়ে ৩৬ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
উসমানের বিদায়ের পর থেকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে শুরু করে চট্টগ্রাম। দলীয় ৮১ রানে আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দউদকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২৯ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ও’দউদ। চাপের মুখে অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে থেকেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আফিফ। আফিফ সমান বল খেলে ২৮ রানে ফেরেন খালেদ আহমেদের বলে। শেষ দিকে জিয়াউর রহমানের ঝোড়ো ইনিংসের পরও ৪ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম। ২৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কা অপরাজিত ৪৭ রান করেন জিয়া। বরিশালের পক্ষে সাকিব, খালেদ, রাব্বি, জানাত সবাই একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে বরিশাল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দলটি সংগ্রহ করে ৫৯ রান। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৩৩ রান। ১২ বলে ২৪ রান করে তাইজুলের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিরাজ। সাকিব দুর্দান্ত শুরু পেলেও মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। কম সময়ে ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর হাল ধরার চেষ্টা করেও পারেননি এনামুল। বাউন্ডারিতে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান জিয়াউর রহমান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ১৭ বলে ২৫ রান করে ফেরেন বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে। ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থেকে ইব্রাহিম ফেরেন ৪৮ রানে। শেষ দিকে চট্টগ্রাম বোলারদের রীতিমতো তুলোধোনা করেন ইফতিখার আহমেদ। তাতে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়ে যায় বরিশাল। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড