আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন দলটির আমির মুফতি রেজাউল করিম।
এ সময় চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
১. ১০ নভেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
২. বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩. সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে, আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
৪. জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দল সমূহের সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি।
এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দেশের সরকার যখন যা খুশি করবে আর এ দেশের জনগণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে তা হতে পারে না। ২০১৪ আর ১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।
রেজাউল করিম বলেন, আজ তিন নভেম্বর। আজ সরকারের মেয়াদ শেষ। এ কারণেই আজকের দিনকে মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেছি।
এর আগে জুমার নামাজের পর মহাসমাবেশ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন দলটির আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তার আগে সকাল ১০টা থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে নেতাকর্মীদের ভিড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতির প্রবর্তন ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশ করছে দলটি।
খুলনা গেজেট/ টিএ