খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  ৫২ বছরে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড যশোরে
  আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি থাকছে স্কুল-মাদ্রাসা
  হিট স্ট্রোকে এক সপ্তাহে ১০ জনের মৃত্যু : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

হাত-পা বাঁধা, গলায় ফাঁস দেওয়া যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন দিঘলিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা ইউনিয়নের গাইকুর গ্রামে ইউশাহ (১৭) নামে হাত পা বাধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত ইউশাহ আড়ংঘাটা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খায়রুজ্জামান ববির ছেলে। এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাসান আল মামুন খুলনা গেজেটকে বলেন, ঘটনাটি সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালের। ওই দিন ছেলেটির বাবাসহ তার স্বজনরা ছেলেটির গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরাও হাসপাতালে যায়। ছেলেটিকে দেখি। তার সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি। এ ব্যাপারে সোমবার রাতেই আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পোস্টমর্টেমের জন্য মৃতদেহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পোস্টমর্টেম শেষে তার লাশ দাফন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। কেন ছেলেটি আত্মহত্যা করলো? ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ প্রশ্নের উত্তর পেতে সহজ হবে। তারপরও আমাদের তদন্ত কার্যক্রম থেমে নেই। অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, নিহত ইউশাহ’র বাবা মা ঘটনার দিন দুপুর ২ টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় ছেলেকে বলে যায় তুই মুরগীর খাবার দিস। আমরা দাওয়াত খেয়ে আসি। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তার বাবা মা দাওয়াত খেয়ে বাড়ির সামনে এসে দেখতে পান বাড়ির গেটের দরজা বন্ধ। অনেক চেষ্টা করে গেট খুলে ভীতরে ঢোকার পর ছেলেকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। ডাকাডাকিতে ছেলের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার বাবা পিছনের জানালা দিয়ে পিছনে হাত-বাঁধা, চোখে গামছা, পেছন বাঁশের আড়ার সাথে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে নামিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত ইউশাহ’র বাবা খায়রুজ্জামান ববির অভিযোগ, আমার ছেলে সুইসাইড করেনি। কে বা কারা আমার ছেলেকে মেরে ফেলছে।

এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, নিহত ইউশাহ খুবই ভদ্র এবং নম্র প্রকৃতির ছিলো। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতো। এলাকায় তার কোন শত্রু ছিল না। সে একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলো এবং ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!