ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকার নিবন্ধন নিয়ে শুরু হয়েছে বিড়ম্বনা। গত ৯ জুলাই থেকে উপজেলায় শুরু হয় চিনের সিনোফার্মার টিকার অনলাইন নিবন্ধন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা অ্যাপসে এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকেই ওই অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে গেলে কেন্দ্রের কোটা পূরণ হয়েছে জানিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দিনভর টিকার নিবন্ধনের জন্য মানুষকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
শহরের চিথলিয়াপাড়া এলাকার স্কুল শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, তিনি তার এক স্বজনের জন্য টিকার নিবন্ধন করতে মোবাইলে সুরক্ষা অ্যাপসে আবেদন করেন। কিন্ত অ্যাপস থেকে এই কেন্দ্রের টিকার কোটা পূরণ হয়েছে বলে অন্য কেন্দ্র নির্বাচন করতে তথ্য দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষের।
উপজেলায় মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রকট আকার ধারণ করায় করোনর টিকা নিতে আগ্রহ বেড়েছে মানুষের মাঝে।
ইতোমধ্যে উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২৮ জনে। আর করোনা ও উপসর্গে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন।
এদিকে টিকার নিবন্ধনের বিড়ম্বনার বিষয়টি বিকেল থেকেই ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। এ নিয়ে ভোগান্তীতে পড়েন অসংখ্য মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ জানান, ঢাকা থেকে হরিণাকুন্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক হাজার (২০০০ ডোজ) সিনোফার্মার টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত তিনদিনে সুরক্ষা অ্যাপসে দুই হাজার ডোজের আবেদন পড়েছে। এর আগে উপজেলায় আরও আটশ আবেদন জমা আছে। সবমিলিয়ে টিকা গ্রহণের নিবন্ধের জন্য দুই হাজার আটশ’ আবেদন জমা হয়েছে। ডোজের চেয়ে আবেদনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই উপজেলায় টিকার নিবন্ধন সেবা বন্ধ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি