যশোরে স্বাস্থ্যসেবার নামে প্রতারণার অভিযোগে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আধুনিক হাসপাতালসহ ৫টি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। এসময় তারা ক্লিনিকগুলোর নানা অনিয়ম হাতেনাতে ধরে চারটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ও সিলগালা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় যশোর শহরের ৫টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন। প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে হাসিনা ক্লিনিক, জেনেসিস হাসপাতাল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও আধুনিক হাসপাতাল।
অভিযান শুরু হয় শহরের পুরতান বসবা পালবাড়ি মোড়ে অবস্থিত হাসিনা ক্লিনিক থেকে। সেখানে অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি নিম্নমানের ও অপারেশন কক্ষে কোনো ডাক্তার নেই। একই সাথে অপারেশন ফিয়েটারে নোংরা পরিবেশ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানের মালিক ডাক্তার মেজবাউর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও প্যাথলজি এবং অপারেশন কক্ষ সিলগালা করা হয়।
এরপর শহরের গরিব শাহ সড়কের জেনেসিস হাসপাতাল গিয়ে ব্যবস্থাপনা ও কাগজপত্রে অনিয়ম থাকায় তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান অব্যাবস্থপনার মধ্যে দিয়ে তাদের প্যাথলজি চলছে। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় সরকার নির্ধারিত ফি মানা হচ্ছে না। রোগীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এসব অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিবুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
একই ভবনের ল্যাবজোন ডায়াগন্টিক সেন্টারের অপারেশন কক্ষের ৩টি লাইট নষ্ট ও প্যাথলজি বিভাগের ফ্রিজে খেজুরের রস ও নোংরা পরিবেশ থাকায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সিকদার সালাউদ্দীনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অপারেশন কক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়।
এছাড়া, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত অধুনিক হাসপাতালের কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়। একইসাথে অপারেশন থিয়েটার নোংরা ও অপরিস্কার থাকা এবং প্যাথলজিতে নোংরা পরিবেশ থাকায় দুটি কক্ষ ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। তবে অবৈধ এ ক্লিনিকে রোগী থাকায় তাদেরকে দু’দিনের সময় দেয়া হয়। এরপর এটি সিলড করা হবে বলে জানিয়ে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাবিদ হোসেন, র্যাব-৬ এর স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি তানভির ফয়সাল, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদসহ স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিভন্ন পর্যায়ের সদস্যরা।
খুলনা গেজেট/ এএজে