যশোরে ছয়লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তার মুন্নি বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা করেছেন। আসামি লিমন পারভেজ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খড়াশুনি গ্রামের মহাসিন আলীর ছেলে।
বাদী ফারজানা আক্তার মুন্নি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালি মাঠপাড়ার ফারুক হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে মুন্নি স্বামী সন্তানসহ যশোর শহরতলির নতুন খয়েরতলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন। ২০১০ সালের ১৬ জুন তিন লাখ টাকা দেনমোহরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় মুন্নির পিতা স্বর্ণালঙ্কার ও কাপড়সহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল দেন জামাই লিমন পারভেজকে। সম্প্রতি লিমন পারভেজ চাকরির জন্য স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে নিজের বেতন এবং জমি বিক্রি করে জামাইকে ছয় লাখ টাকা দেন মুন্নির পিতা। এরপর কিছুদিন ভালোভাবে সংসার করার পর আবারও পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তার স্বামী। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় মুন্নিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে লিমন।
সর্বশেষ গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাতটার দিকে লিমন পারভেজ যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকার জন্য স্ত্রী মুন্নিকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। জীবন বাঁচাতে হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় মুন্নির হাতে কামড় দিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন তিনি। পরে প্রতিবেশীরা এসে মুন্নিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় তিনি মামলা করেন।