খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
  বান্দরবানের রুমা থানচি সীমান্তবর্তী এলাকায় দু’টি মরদেহ উদ্ধার
  দেশে আবারও ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট জারি : আবহাওয়া অধিদপ্তর
  দুই আইনজীবির আদালত অবমাননার শুনানি পিছিয়ে ৩০ জুন : আপিল বিভাগ
  নির্বাচনে বিদেশি শক্তির প্রভাব অনুভব করেনি আওয়ামী লীগ : কাদের

সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারে উদ্বেগ, জড়িতদের কঠোর শাস্তি দা‌বি

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠন ‘গ্লোবাল খুলনা’। সেইসাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি প্রদানের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষে আহবান জানিয়েছেন তারা।

গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন ও নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিষ দিয়ে মাছ ধরার ফলে প্রায় ৩০০ প্রজাতির মাছের মধ্যে খুব সামান্যই বর্তমানে টিকে আছে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক, নিষিদ্ধ সময়ে শুধু কয়রায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বনরক্ষী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও মাছ ব্যবসায়ীরা জড়িত। হিরণ পয়েন্ট থেকে কাঠকাটা পর্যন্ত বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরা হয়। বনরক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলে ও মাছ মাদারবাড়িয়া বটতলা থেকে বিষ দিয়ে ধরা সাড়ে ৩৭ মণ চিংড়িসহ সাতজনকে আটক করা হয়। কিন্তু প্রতি রাতে এখানে ১০-১২ লাখ টাকার চিংড়ি বিষ দিয়ে মারা হয়। এখানে বড় ধরনের চক্র আছে। কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত এ তথ্য উদ্ঘাটন করে কঠোরভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

গ্লোবাল খুলনার নেতৃবৃন্দ আরও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকারে দুষ্কৃতকারী চক্রের অবাধ তৎপরতা ক্রমেই বাড়ছে। ম্যানগ্রোভ বনের বিভিন নদ-নদী ও খালে বিষ প্রয়োগে মৎস্য শিকারের প্রবণতায় হুমকির মুখে পড়েছে বনাঞ্চলে মৎস্য সম্পদের প্রজনন ও উৎপাদন।

অসাধু বনরক্ষীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে নির্বিচারে চলছে মৎস্য নিধনের অনৈতিক এ কারবার। জেলে নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারীদের অতি অল্প সময়ে বেশি মাছ আহরণ ও লাভ হলেও সুন্দরবনের প্রকৃত জেলেরা নিঃস্ব হচ্ছে। আর এ কারণে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে। বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার করায় শুধু মৎস্য সম্পদই নয়, হুমকির মুখে পড়ছে সুন্দরবনের জলজ প্রাণীও। এদিকে মাছ শিকারের জন্য বন সংলগ্ন এলাকায় হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে বিষ বা কীটনাশক। পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ মিলিয়ে পুরো সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকা মোট চারটি রেঞ্জের আওতাধীন ১৮টি খালে সব ধরনের জেলে প্রবেশ ও মাছ ধরার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। কারণ এ নিষিদ্ধ ১৮টি খালে ডিমওয়ালা মা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য অবস্থান নেয়। সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরায় শুধু এক প্রকারের মাছের ক্ষতি হচ্ছে না, অন্য সব প্রজাতির মাছই ধ্বংস হচ্ছে, পাশাপাশি এর সঙ্গে বন ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিষাক্ত পানির মাছ খেলে মানুষের পেটের পীড়াসহ কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!